ছাগলনাইয়ায় শিকল দিয়ে আটকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধুর উপর নির্যাতন ছালিয়েছে পাষন্ড স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধুকে উদ্ধার করে রবিবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযুক্ত স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীকে আটক করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ফেনী সদর উপজেলার কাতালিয়া গ্রামের কবি আবদুল মালেকের বাড়ির মৃত আমিনুল এহসান বাবুলের মেয়ে তাহেরা আক্তার রিনার ২০১৭ সালের ২২ মার্চ বিয়ে হয় ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়ির মৃত নজির আহাম্মদ হাজারীর পুত্র বিয়ে পাগল মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় তাহেরা আক্তার রিনার উপর তার স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে একপর্যায় প্রাণ বাঁচাতে তাহেরা আক্তার রিনা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৯মাস পালিয়ে থাকার পর ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারী রিনাকে তার নানার বাড়ি থেকে উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়িতে এনে টানা চারদিন ঘরের মধ্যে শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে মাথার চুল কেটে জোর পূর্বক প্রশ্রাব খাইয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানার এস.আই মো. নাঈম উদ্দিন ও এস.আই মো. শহিদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রবিবার বিকালে পাঠাননগর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়ি থেকে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থা থেকে নির্যাতিত গৃহবধূ তাহেরা আক্তার রিনাকে (২৪) উদ্ধার করে এনে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে।
এলাকাবাসী জানায়, রিনাকে বিয়ে করার পূর্বে বাদল হাজারী আরো ২টি বিয়ে করেছে। ওই দুই স্ত্রীর দুটি সন্তান রয়েছে। বাদল হাজারীর অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে তারা সংসার ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে ওই দিন রাতে একই ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা থেকে পাষন্ড স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীকে আটক করে পুলিশ।
ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শখ (তদন্ত) সুদীপ রায় মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীকে আটক করারা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনএস