ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমা, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন চিফ মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবময় দেওয়ান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিকেএম এনামুল করিম, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার সোহেল, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান কবির আহমদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট ঠেকাতে ১৫ মে ও ২০ মে ফতেহপুর ওভারপাসের রাজধানী ঢাকামুখি দুটি লেখ খুলে দেয় নির্মাণ কাজে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী। ফলে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষ যানজটের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায়। একইভাবে ঈদুল আযহার আগে পুরো ওভারপাস খুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে সেনাবাহিনী।
এদিকে ফতেহপুর ওভারপাস খুলে দেয়ায় খুশি চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। একাধিক যাত্রী ও চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর ওভারপাসের কারণে দীর্ঘ প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর তীব্র যানজটের শিকার হয়েছে যাত্রীরা। এটি চালুর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তী থেকে রক্ষা পাবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স শিপো পিবিএল’। নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ না করে কাজ ফেলে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৭ সালে কাজটি দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনকে। সেনাবাহিনী আল আমিন কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে।
ওভারপাসটির দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৭৯ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোড়ের দৈর্ঘ্য ৭৫৫ মিটার, এর মধ্যে ঢাকার দিকে ৩৪৭ মিটার, চট্টগ্রামের দিকে ৪০৮ মিটার, সর্বমোট গার্ডার ৩০টি, পিলার ৮টি, পাইল ৪৯০টি। প্রকল্প ব্যয় ১০৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনইউসি







