নতুন ফেনী ডেস্ক >>
সোনাগাজীতে গৃহবধুকে পাশবিক নির্যাতনে অভিযুক্ত লম্পটদের ১০বার কানে ধরে উঠবস করেই ছেড়ে দিয়েছে সমাজপতিরা। মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতার বাড়ীতে সালিশী বৈঠকে রায়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হয় উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরলক্ষীগঞ্জ গ্রামের বান্দের পাড় এলাকায় রহমত উল্যাহর স্ত্রী। এসময় আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৫), বেলাল হোসেন (৩২) ও নুর আলম (২৮)সহ ৫ থেকে ৬জন দুর্বৃত্ত্ব তার মুখ বেধে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। স্ত্রীকে অনেক্ষণ ঘরে আসতে না দেখে কয়েকজন নিয়ে তার খোঁজে বের হন। পরে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে তার ঘোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে ওই দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্ত্বরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, নির্যাতিাতর শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রহমত উল্যাহ সমাজপতি মাষ্টার শামসুল হক, আবু ইউসুফ, রুহুল আমীন, মিলিটারী ছাইদুল হক, মিলিটারী আবুল কালামকে বিষয়টি জানালে তারা মিমাংসা করে দেবেন বলে কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রহমত উল্যাহর বাড়ীতে মাষ্টার শামসুল হক, মিলিটারী ছাইদুল হক, মিলিটারী আবুল কালামের উপস্থিতে সালিশী বৈঠক হয়। বৈঠকে মঙ্গলবার রাতে দস্তাদস্তির সময় লম্পটদের চিনিয়ে নেয়া সোনার চেইন উদ্ধার করে দেন। পরে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে তিন লম্পটকে ১০ বার কানে ধরে উঠবস ও ওই গৃহবধুর পায়ে ধরে মাফ নিয়ে ছেড়ে দেন। চক্ষু লজ্জা ও প্রভাবশালীদের ভয়ে মামলা দিতে ভয় পচ্ছে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে সমাজপতি মাষ্টার সামছুল হক অপরাধীদের কানে ধরে উঠবস করে ছেড়ে দোয়ার কথা নতুন ফেনী’র কাছে স্বীকার করেন।
অন্যদিকে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত আরেক সদস্য মিলিটারী আবুল কালাম নতুন ফেনীকে জানান, বৈঠকে শ্লীলতাহানীর কথা ওই গৃহবধু বলেননি। তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ ছিল ওই দিন রাতে অভিযুক্ত তিনজন হন্তধন্ত হয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করার সময় ওই গৃহবধুর সাথে ধাক্কা খায় এতে তার গলায় থাকা সোনার চেইটি হারিয়ে যায়। তাই ওই দিনজনের কাছ থেকে চেইন উদ্ধার করে কানে ধরে উঠবস করানো হয়।
নির্যাতিতার স্বামী রহমত উল্যাহ জানান, অভিযোগ দিয়ে কি হবে। আমাদেরতো সমাজেই থাকতে হবে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি নিশ্চুপ থকেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
সম্পাদনা: আরএইচ
শ্লীলতাহানীর শাস্তি ১০ বার কানে ধরে উঠবস!
