ফেনীতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এবং আবুল হোসেনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের একটি বাড়ি থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ফেনী মডেল থানার ওসি তদন্ত শহীদুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে ৪ মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাসহ কয়েকটি মামলা বিচারাধিন রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার পাল জানান, বুধবার দুপুরে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে বিস্ফোরক মামলার আসামী মাওলানা নুর মুহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নুর মোহাম্মদ মির্জা নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘ দিন উপজেলা জামায়াতের আমীরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি উপজেলার সুবার বাজার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক। মনিপুর গ্রামের মৃত হাফেজ আহাম্মদের ছেলে।
একই দিন ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে দুপুরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি উপজেলা বিএনপিরসহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ বরাত জানান, পুলিশসরকার দলীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে। গতকাল বুধবার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুন, দাগনভূঞা পৌর যুবদল সভাপতি হুমায়ুন কবির বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন টিংকুকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার রাতে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নাশকতা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় ১৩জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে অব্যাহত গ্রেফতারে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার। তারা এক বিবৃতিতে জানান, সরকার ভোট ডাকাতির সুবিধার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছে। অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত সকল কারাবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন তারা।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







