আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। এরপর বিভিন্ন স্থানে এর ব্যবহার শুরু হয়। জাতীয় পর্যায়ে তার সুফল আসতে শুরু করে। দেশের কোথাও এই নম্বরেই ফোন করে বাল্যবিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়েছে, কোথাও ধর্ষণের অভিযোগ আসার পর গ্রেপ্তার হয় ধর্ষক। কোথাও আবার মিলে স্বাস্থ্য সেবা। এবার নির্বাচনের সময়েও ভোটকেন্দ্রের যেকোনো সমস্যায় সাড়া দেবে-৯৯৯।
কোনো ভোটকেন্দ্রে দখল, মারামারি, জালভোট প্রদান, কোনো প্রকার গণ্ডগোল বা সমস্যায় ৯৯৯-এ ফোন করা যাবে। যে কেউ এই নম্বরে ফোন করে সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে পারেন। তাদের তথ্য অনুযায়ী সেই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। এমনকি নির্বাচনসংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো গুজব নজরে এলে, সে বিষয়টিও যাচাই বাছাই করতে ৯৯৯- এ ফোন দিয়ে সহায়তা নেয়া যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক কোনো জরুরি সহায়তার জন্য ট্রিপল নাইনকে ফোন করা যাবে। ট্রিপল নাইন ফোনটি সংশ্লিষ্ট থানা বা জেলার সমন্বয়কারী টিমের কাছে দিয়ে দেবে।
নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন মোবাইল টিমগুলো কাজ করবে। সাথে কাজ করবে স্টাইকিং ফোর্স, মাঠে আরো থাকবে ফ্রিকোয়েন্স রেসপন্স টিম। কেন্দ্রভিত্তিক টিমগুলোকে জরুরি সেবা দেয়ার জন্য তারা কাজ করবে। এর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সাইবার জগতে গুজব বা উসকানিমূলক তথ্য বা মিথ্যাচার ছড়িনোর যারা কাজ করবেন তাদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের সহিংসতামূলক ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগী ভোটার ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইতে পারবেন। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মোকাবেলা করতে ফায়ার সার্ভিসের ‘দি লাইফ সেভিং ফোর্স’ এর প্রায় ছয় হাজার সদস্য প্রস্তুত থাকছে। সারা দেশে এ জন্য এক হাজার মোটরসাইকেলের মাধ্যমে টহল চলবে ফায়ার সার্ভিসের। পাশাপাশি ওয়াটার টেন্ডার, ফোর হুইলার, ই টেন্ডারসহ সবশক্তি মাঠে থাকবে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য, সংবাদ, পোস্টার, লিফলেট, বক্তব্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ ও প্রচার করছে। এতে জনমনে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। গুজবের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকতে ও সাধারণ মানুষকে গুজব বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে ত্রিপল নাইনে ফোন দেয়া যাবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, কেউ যদি উসকানিমূলক বা গুজব সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে পারলে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে জানাতে পারবেন। ট্রিপল নাইন পুলিশের অপারেশন কন্ট্রোল রুমে ফোনের লাইনটি দিয়ে দেবে। অপারেশন কন্ট্রোল রুম জানিয়ে দেবে যে ঘটনাটি সত্য নাকি গুজব। যদি কোনো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে না পারে, সেক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতার মোবাইল ফোন নম্বরটি রেখে দেবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা তদন্ত করে ত্রিপল নাইন ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে।
সম্পাদনা: আরএইচ/নতুন ফেনী টিম







