রমজানকে ঘিরে অস্থির মৌসুমী ফলের বাজার • নতুন ফেনীনতুন ফেনী রমজানকে ঘিরে অস্থির মৌসুমী ফলের বাজার • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজানকে ঘিরে অস্থির মৌসুমী ফলের বাজার

পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে অস্থির মিরসরাইয়ের মৌসুমী ফলের বাজার। মধু মাস হওয়ার কারণে বিভিন্ন ফলের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা থাকলেও উল্টো বেশী টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। রোজা যত বাড়ছে ফলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে ততই বাড়ছে। ক্রেতারা বলছে রোজাকে ঘিরে ফলের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে রোজায় চাহিদা বেশী থাকায় পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে। মিরসরাইয়ে ফলের ফলের দাম বাড়নোকে কেন্দ্র করে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার শুরুর দিন থেকে রাজধানীর ফলের আড়ৎগুলো ফলের দাম আগের তুলনায় কার্টন প্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশী দিয়ে ফল ক্রয় করতে হচ্ছে এজন্য খুচরা বাজারে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে বারইয়ারহাট, মিরসরাই সদর, মিঠাছড়া, বড়তাকিয়া বাজারে ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা দেখে রোজাকে কেন্দ্র করে বিক্রেতারা বাহারী রকমের মৌসুমী ফলসহ বিভিন্ন রকমের ফল সাজিয়ে রেখেছে তাদের দোকানগুলোতে।

জানা গেছে, রোজার আগে আপেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা এখন আপেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা। মালটার দাম ছিল প্রতি কেজি ১১০ টাকা এখন বেড়ে ১৮০ টাকা, দেশী আঙ্গুর ছিল ২০০ টাকা এখন তা এখন ৩৫০টাকা, প্রতি ডজন কলা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। অথচ রমজনের আগে ছিলো সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। তরমুজ রোজার আগে ছিলো যেটা ২৫০টাকা পিস এখন তা ৬০০-৭০০টাকা, ছোট সাইজের তরমুছ ছিল ১০০টাকা এখন তার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, এছাড়া মৌসুমী ফল আম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়, ১শ লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া রোজায় ইফতারে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খেজুর মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, বাটারী প্যাক বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০টাকায়, বড়ই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, ফরিদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকায়, আলজাজিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়,নাগাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০টাকায়, দাপাস বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৭০০টাকায়।

মিরসরাই সদরের ফল ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, প্রতিবছর বাজারে মৌসুমী ফল এলে প্রথম দিকে দামটা একটু বেশি থাকে। তবে মানুষ বেশি দাম দিয়েই সেগুলো ক্রয় করেন। তাছাড়া আমরা তো আড়তদার থেকে বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
বারইয়ারহাট বাজারের খুচরা আম ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রানা জানান, এখনো পুরোপুরি আম বাজারে আসেনি। ২০ রমজানের পর বিভিন্ন ধরনের আম বাজারে আসলে অন্য ফলের দাম কমে যাবে।

বারইয়ারহাট ফলের আড়ত বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী মোঃ সাইদুল ইসলাম শেখসাব বলেন, আমরা পাইকারীভাবে ফলগুলো চট্টগ্রামের ফলমন্ডি থেকে কিনে আনতে হয়। সেখানে রমজান আসার পর দাম বেশি রাখছে। এছাড়া গাড়ি ভাড়া লোড়-আনলোড় এর খরচ তো রয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.