ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার দেবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবুধাবি প্রবাসী মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ (৫০) ও তাঁর ভাগ্নে মোহাম্মদ হুজাইফা তাহমিদ (১৬) গত ১০দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁদের তোন খোঁজ মিলেনি। তাঁদের নিখোঁজের ঘটনায় ফেনীর দাগনভূঁঞা থানা ও ঢাকার খিলগাঁও থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, নিখোঁজ মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ (৫০) গত প্রায় ১৫ বছর থেকে আবুধাবিতে ব্যবসা করেন এবং সপরিবারে সেখানে বসবাস করেন। গত রমজানের কয়েকদিন আগে একাই গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং বোনের পরিবারের সাথে উপজেলার উত্তর চন্ডিপুর ছিলেন। তাঁর ভাগ্নে-মোহাম্মদ হাফেজ আবুল বাশারের ছেলে মোহাম্মদ হুজাইফা তাহমিদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। গত ১৩ জুন দুপুরে মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ আবুধাবি যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সাথে ভাগ্নে মোহাম্মদ হুজাইফা তাহমিদকে নেন। তাঁরা ঢাকায় একদিন থাকবেন। তারপর তিনি আবুধাবি চলে যাবেন, আর ভাগ্নে তাহমিদ বাড়ি চলে আসবেন এটাই বাড়িতে বলে যায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে তাঁরা ফেনীতে স্টার লাইন পরিবহনের বাসে উঠেন। এরপর থেকে তারা মামা-ভাগ্নে নিখোঁজ রয়েছে। তাঁদের দুজনের হাতে থাকা দুটি মুঠোফোনও (০১৮৭৭-৮২৯০২৫ ও ০১৮৮২-৪৬২৮৫০) বন্ধ পাওয়া যায়। পারিবারিক সুত্র জানায়, তাঁদের ঢাকা ও এলাকায় সম্ভাব্য সব আত্মীয়স্বজনের নিকট খোঁজ করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি আবুধাবিও যাননি।
খোঁজাখুঁজির পর প্রবাসীর ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে মোহাম্মদ হুজাইফা তাহমিদের বাবা মোহাম্মদ হাফেজ আবুল বাশার ১৫ জুন দাগনভূঁঞা থানায় (জিডি নং ৫২৫)এবং অপর এক আত্মীয় হাফেজ মো. মুনছুর আলম ১৭ জুন ঢাকার খিলগাঁও থানায় (জিডি নং ৯১৩) পৃথক জিডি করেন।
দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছালেহ আহম্মদ পাঠান দানভূঁঞার প্রবাসী মোহাম্মদ আতিক উল্যাহ ও তাঁর ভাগ্নে মোহাম্মদ হুজাইফা তাহমিদের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জিডি করার পর পুলিশের বেতারের মাধ্যমে সব থানায় খবর পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







