দাগনভূঞা প্রতিনিধি>>
দাগনভূঞার বইয়ের দোকান গুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নিন্মমানের গাইড ও নোট বই। এসব বই সমিতির নামে বই পাঠ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।
সুত্র মতে জানা যায়, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে বিনামূল্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পাঠিয়ে দেন। ১লা জানুয়ারীতে সেগুলো ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করে প্রথম সপ্তাহ থেকে শ্রেণী কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু এর আগ থেকে লাইব্রেরী গুলোতে নিষিদ্ধ এসব বই বিক্রি শুরু হয়। মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ ধরনের নোট ও গাইড বইগুলো পাঠ্য করা হচ্ছে। প্রকাশক, লাইব্রেরীর মালিক ও এক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষকের যোগসাজসে এ ধরনের বই পাঠ্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অংকুরেই ধ্বংস হচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
নোট ও গাইড নির্ভর গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার ধারা পরিবর্তন করে ৬ বছর আগে যুগোপযোগি সৃজনশীল পদ্ধতির শিক্ষা ব্যব¯’া চালূ করে সরকার। সর্ব মহল থেকে বেশ সাড়া পাওয়া যায়। নতুন পদ্ধতির সাথে পরিচিতি করতে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শত ভাগ সফলতা না আসলেও কাছাকাছি পর্যায়ের মান আশা করেছিল সরকারের বিজ্ঞ মহল থেকে। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নগদ অর্থায়ন কিংবা বিভিন্ন উপটোকন প্রদানের মাধ্যমে প্রকাশকরা তাদের বইগুলো পাঠ্য করছে বলে সূত্র মতে জানা গেছে। তাদের কাছে অসহায় আজ অভিভাকরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেনা তারা।
সম্পাদনা: আরএইচ
দাগনভূইয়া সয়লাভ নিষিদ্ধ গাইড বই







