মিরসরাই প্রতিনিধি>>
মিরসরাইয়ের হাইতকান্দি ইউনিয়নে মহালংকা জগদ্বিশপুর গ্রামে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনের হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গণগ্রেফতার চলছে। হত্যাকান্ডের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার নওশা মিয়া ইটভাটার শ্রমিক আবু তাহেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার স্ত্রী স্ত্রী বিবি ফাতেমা নতুন ফেনী’কে জানান, ‘আমার স্বামী নওশা মিয়া ইট ভাটা কাজ শেষে বাজারে আসে চাল কিনতে। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেও স্বামী ঘরে না ফেরায় খোঁজ করতে থাকি। পরে খবর পাই মিরসরাই থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে এসেছে। আমার স্বামীর কোন দোষ নেই। তিনি ইটভাটায় দিন মজুরি কাজ করেন।’
শুধু আবু তাহের নয় এসময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আরো ২৩ জনকে আটক করে মিরসরাই থানা পুলিশ। গতকাল মিরসরাই থানায় গিয়ে দেখা যায়, কাষ্টরিতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। থানার সামনে যেন মেলা বেসেছে। আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে থানার গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, যাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তাদের অনেকে দিন মজুর। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার গিয়ে ততবির করে কয়েকজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলেও নিরীহ ব্যক্তিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী জানান, পুলিশ কিছু লোককে আটক করেছে। তবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনতে তিনি সুপারিশ করেছেন।
মিরসরাই থানার ডিউটি অফিসার এএসআই যশমন্ত মজুমদার বলেন, হাইতকান্দিতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৩জনকে আটক করে চট্টগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমইউ
মিরসরাইয়ে যুবলীগকর্মী হত্যাকান্ডে দিনমজুরসহ ২৩ জন আটক







