ছাগলনাইয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিন সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন। রবিবার বিকালে ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর মন্দিয়া গ্রামের মোস্তফা পাটোয়ারীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিন সহোদরকে ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন’র পক্ষে তাদের হাতে নগদ অর্থ এবং পৌর শহরের মটুয়া কলোনির অসহায় এক নারীর হাতে সেলাইমেশিন তুলে দেন দৈনিক ইনকিলাব’র ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবিএম নিজাম উদ্দিন।
ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. মোস্তাফার তিন ছেলে সাইফুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও মোমিনুল ইসলাম। জন্মের পর থেকে দেখার সৌভাগ্য মেলেনি পৃথিবীর আলো। অন্ধত্বকে সঙ্গী করে জন্ম নেয় এই তিন সহোদর। প্রায় দুই যুগ আগে বাবা মো. মোস্তফার মৃত্যু হলে মা সকিনা বেগমের মাতৃ ছায়ায় বেড়ে উঠেন তারা। তিন ভাই জন্মান্ধ হলেও সমাজে বাঁচতে চায় অন্য দশজনের মতো। একদিকে পারিবারিক অসচ্ছলতা অন্যদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতায় কর্মের অক্ষমতার কাছে হার মানতে হয় তাদের, এতোকিছুর পরও তিন সহোদর স্বপ্ন দেখেন আলোহীন চোখে স্বাবলম্বী হওয়ার। পুঁজি না থাকায় সেই স্বপ্নটাও ছিলো তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বৃদ্ধ মা সকিনা বেগমের হাতে তৈরি গৃহস্থালি আসবাবপত্র বিক্রি করে কোনোভাবে খোরাক জুড়ত এই পরিবারের। এক পর্যায়ে বয়সের চাপে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে তাও আর সম্ভব হয়ে উঠেছে না।
এমতাবস্থায় তিন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তান আর পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বৃদ্ধ সকিনা বেগম। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরেন তারা।