ছাগলনাইয়ায় গত কয়েকদিনের টানা লোডশেডিংয়ের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পল্লী বিদ্যুতের অফিস ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, টানা কয়েকদিনের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের পূর্ব ছাগলনাইয়া রাস্তার মাথা সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে জড়ো হয় কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরতন মহাসড়কের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসটি ঘেরাও দিয়ে ভাংচুর করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোহার গেইট, গ্লাস, সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার, এসি, জেনারেটর, দরজা, চেয়ার, টেবিল, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
এছাড়াও অফিসের ভিতরে থাকা একটি বাইসাইকেলও নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ জনতা। খবর পেয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সুদীপ রায় পলাশ’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পৌর মেয়র এম মোস্তফা। থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সুদীপ রায় পলাশ জানান, ইফতারের পর কিছু উশৃংখল জনতা পল্লী বিদ্যুতের অফিসটি ভাংচুরের চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে আমরা আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপরও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোহার গেইট, গ্লাস ভাংচুর করে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম যদি অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পৌর মেয়র এম মোস্তফা বলেন, বিদ্যুৎ হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। অতিরিক্ত লোডশেডিং হলে মানুষ প্রতিবাদ করতেই পারে। তাই বলে হামলা ভাংচুর কোনভাবেই কাম্য নয়। আমি এই হামলা ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এব্যাপারে ডিজিএম জানে আলম জানান, উৎপাদনের চেয়ে ১৬’শ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির কারনে আজ ছাগলনাইয়াতে আমরা কম পেয়েছি। যার কারনে বিক্ষুব্ধ জনতা আমাদের জোনাল অফিসটি ভাংচুর করায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লোডশেডিংয়ের এই সমস্যাটা সাময়িক। আমরা আশা করছি ঈদের আগে এই সমস্যাটি কমে আসবে।
সম্পাদনা: আরএইচ