‘জিয়া থেকে এরশাদ, এরশাদ থেকে খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এ একুশ বছর ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মানুষকে শুনতে দেয়া হয়নি।’
রবিবার বিকালে মিরসরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত ৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ কালীন চট্টগ্রাম ১ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
এসময় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়ামের এ সদস্য আরও বলেন, ‘১৯৭১’র ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যখন বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন আমরা মিরসরাইয়ের মিঠাছরা স্কুল মাঠে অনুরূপ একটি জনসভার আয়োজন করি। সেখানে আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ম্যাসেজ সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিই।’
স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষক প্রসঙ্গ তুলে ধরে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা পাঠ করা হয়েছিল। মূলত আমরা ৭ই মার্চের দিন থেকেই গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। প্রায় ১লাখ ৯৫ হাজার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা ছিল মিরসরাইয়ে। আগামী ১০ বছর পর আমি সহ হয়তো কোন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকবেনা, তাই আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
ওইদিন বিকাল ৪টায় পবিত্র কুরআন তেলোয়াত ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মিরসরাই থানার উদ্যোগে আয়োজিত ৭ই মার্চের অনুষ্ঠান। শুরুতেই রবিবার গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচার করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান।
এতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা, সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, সাহিত্যিক কাইয়ুম নিজামী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রায়হান কাউছার।
সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনালেখ্যের আলোকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সম্পাদনা:আরএইচ/এমইউ







