ফেনীতে হামলায় আহত হয়ে মামলা করতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছেন এক মেম্বার প্রার্থী। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওই মেম্বার প্রার্থীকে তার এলাকা থেকে ধরে এনে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে দাবী করেছেন ওসি। এরআগে শনিবার সকালে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন ওই মেম্বার।
ফরহাদনগর ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন জানান, শনিবার সকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও শামছুল হুদা এবং ইউপি সদস্য মুনির উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক সমর্থক নিয়ে ইউনিয়নের খাইয়ারা বাজারে গণ সংযোগ শুরু করেন। গণসংযোগ চলাকালে হঠাৎ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপুর নেতৃত্বে একদল যুবক স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলাউদ্দিন ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে মুনির মেম্বারসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করার জন্য মুনির মেম্বার থানায় গেলে ওসি তাকে একটি পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি আমি ওসিকে জিজ্ঞেস করলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
ফেনী মডেল থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, মেম্বার মুনির উদ্দিনকে একটি মামলায় সন্ধিগ্ন আসামী হিসেবে সকালে খাইয়ারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে মামলা করতে থানায় এসেছে এমন তথ্য সঠিক নয়।
এদিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু ও তার লোকজন আমার বিরুদ্ধে একেরপর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমার কর্মী ও সমর্থকদের মারধর ও আমার প্রচারণার পোস্টার ব্যানার ছিড়ে ফেলছে। আমি এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।