ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চরদরবেশ ৭নং ওয়ার্ড চরইঞ্জুমান এলাকায় ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে হাজী আহম্মদ জামে মসজিদে ভাংচুর করেছে। মাইক ব্যাটারী সহ মুয়াজ্জিনের ব্যবহার্য আসবাব সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে দুবৃত্তরা। ভাংচুরে বাধা দিতে এলে দুই মুসল্লিকে পিটিয়ে আহত করে হত্যার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরনবী (৬০) নামে এক মুসল্লী বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন (যাহার এসডিআর নং-২৬০ ২৯-০৩-২১)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লী ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যাক্তির দান করা ভূমিতে দুই বছর আগে মসজিদটি স্থাপন করে এলাকাবাসী, শান্তি সম্পৃতির সাথে সেখানে নামাজ আদায় করে আসছিলো এলাকার মূসল্লীরা। এরই মধ্যে একই এলাকায় দুটি মসজিদ দরকার নাই যুক্তি দেখিয়ে মসজিদটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য কাজ করতে থাকে একটি কুচক্রি মহল। ২৯শে মার্চ সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মুসল্লীরা চলে যাওয়ার পর পার্শ্ববতি লিটন, আব্বাস, পলাশ, হুল মিয়া, লাল মিয়া, আবদুর রহিম সহ আরো লোকজন লোহার রড, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে মসজিদে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তালা ভেঙ্গে ভেতরে ডুকে মাইক, মাইকের মেশিন ব্যাটারী সহ মোয়াজ্জিনের ব্যবহার্য্য বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসময় মসজিদের মিম্বারটি একেবারে ভেঙ্গে পেলা হয়েছে, তাছাড়া চালের চাউনি মস্কা ও টিনের বেড়ায় ভাংচুর করা হয়েছে।
মামলার বাদী নুর নবী জানান, মসজিদে ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা একাধিক মুসল্লীকে পিটিয়েছে, আমি মামলা করেছি, আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত লিটন জানান, হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা রাতের আধারে আব্দুল হালিমের জায়গায় ঘর তৈরী করে মসজিদের নাম করে দখল করার চেস্টা করে। সকালে আমরা দেখার পর প্রতিবাদ করলে তারাই এধরনের কাজ করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। লিটন আরও জানান, তারাও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পলান উদ্দিন নাডু মিয়া বলেন, মসজিদটি নিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো, তবে মসজিদে হামলা ভাংচুর করাটা কোনভাবেই উচিত হয়নি।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।