আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে খতমে তারাবীর নামাজ পড়াতে জেলার বিভিন্ন এলাকার মসজিদে এক হাজার কোরআনের হাফেজ সরবরাহ করেছে জামেয়া রশীদিয়া মাদরাসা। জেলার সর্ববৃহৎ কওমী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২৩ বছর এ কাজটি করে আসছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাটে প্রতিষ্ঠিত জামেয়া রশীদিয়া মাদরাসায় ‘তাদরীবুল হুফফাজ’ নামের হেফজ বিভাগ চালু করা হয়। তখন থেকেই প্রতিবছর রমজান মাসে বিভিন্ন মসজিদে হাফেজ সরবরাহ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও জেলায় ৫শ মসজিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ওই তালিকায় দুইজন করে ১ হাজার হাফেজকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা ফয়েজ উল্যাহ জানান, তারাবীহ চলাকালে তালিকাভুক্ত মসজিদ সমূহ পরিদর্শনের ২০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। জামেয়া রশীদিয়া মাদরাসা থেকে নিয়োগকৃত হাফেজগণ তারাবীহ পড়ানোর জন্য স্বেচ্ছায় বিনিময় গ্রহণ করেনা।
তাদরীবুল হুফফাজ বিভাগের প্রধান মাওলানা হোসাইন আহম্মদ জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে এবার রমজানের আগ থেকে প্রায় এক হাজার ছাত্র বিভিন্ন মসজিদের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তাদরীবুল হুফফাজ বিভাগের সমন্বয়ক হাফেজ ওবায়দুল হক জানান, গত ৭-৮ বছর ধরে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলায় তারাবি পড়িয়ে আসছেন হাফেজ শরীফুল ইসলাম সানি। রশীদিয়া মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর প্রথমবারেই তিনি জায়লস্কর ৪ বিজিবি ক্যাম্পের মসজিদে ইন্টারভিউর মাধ্যমে তারাবির হাফেজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সেখানে নিয়োগ পাওয়া দু’জন হাফেজের মধ্যে আরেকজন হলো হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। সেও রশীদিয়ার শিক্ষার্থী।