আর মাত্র তিনদিন পরই শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুর্গোৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। আর এই উৎসবকে ঘিরে পুরো ছাগলনাইয়া উপজেলাজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
প্রতিবারের মত এবারও দূর্গাপূজা উপলক্ষে শেষ মহূর্তে প্রতীমার সাজসজ্জা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন ঢাকা চট্রগ্রাম থেকে আগত কারিগররা। পূজা মন্ডপে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর সংঘাত এড়াতে প্রস্তুত থানার পুলিশ প্রশাসন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৫টি পূজামণ্ডপে এবারের পূজা উদযাপন করা হবে। এরমধ্যে দক্ষিণ আঁধার মানিক পূজা মন্ডপ, উত্তর আঁধার মানিক যশদা বৈদ্যের বাডি পূজা মন্ডপ, জয়পুর কালী ঘোপাল সার্বজনিন পূজা মন্ডপ, শুভপুর ইচ্ছাময়ী বাডি পূজা মন্ডপ ও পৌরশহরের কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রায় ২৫ হাজার পূন্যার্থী পূজা উদযাপন করবেন বলে জানা যায়।
পূজায় প্রথম দিন ষষ্ঠি পূজায় পুষ্পমাল্য ও বিলিপত্রের মাধ্যমে দেবীর আগমন বোধন, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমীতে ধুপ ও কুশির মাধ্যমে প্রতীমা আরতি, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমিতে অন্ন প্রসাদ, চতুর্থ দিন মহানবমীতে অন্ন প্রসাদ এবং পুরহিত দারা চন্ডিপাঠ ও সন্ধীপূজা, এবং শেষ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতীমা বিসর্জন।
উত্তর আঁধার মানিকের শ্যামল চন্দ্র রয় নামের এক পূন্যার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সরকারীভাবে কোন কিছুই পাইনা। নিজেরাই কোনরকমে টাকা তুলে পূজা উদযাপন করি। পৌরসভার কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি বাদল শর্মা বলেন, পূজা উদযাপনের জন্য প্রতীমা নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে আগত কারিগরদেরকে প্রতীমা নির্মানের জন্য ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কালী প্রদ বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর আমাদের সবছেয়ে বড় উৎসব হয় সারদীয় দূর্গা পূজা। এটি সুন্দর ভাবে পালনের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
এব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, পূজার নিরাপত্তায় প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ এবং আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। পূজা মন্ডপ এলাকায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি আমরা।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এমকেএইচ