বিশেষ প্রতিনিধি>>
ফেনীর দাগনভূঞায় ১২ বছর বয়সী শ্রমিককে নির্যাতন করে হাত ও কোমর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফার্ণিচার দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মালিক নাছিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহত শিশুর মা সোমেনা জানান, অভাবের তাড়নায় পিতৃহারা আবুল হোসেন ১ আগস্ট থেকে উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সেহাসন এলাকার নাছির ফার্ণিচার দোকানে কাজ নেয়। কাজে যোগদানের ৪ দিনের মাথায় প্রচন্ড জ্বর হওয়ায় হোসেন কোন কাজ করতে পারছিলোনা। এতে মালিক নাছির উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিছানা থেকে আছাড় মেরে নিছে ফেলে দেয়। এতে হোসেনের হাত ও কোমর ভেঙ্গে যায়। পরে নাছির গাছ থেকে পড়ে আবুল হোসেন ব্যাথা পেয়েছে বলে তার মায়ের কাছে খবর পাঠায়। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ভূজপুর উপজেলা থেকে তার স্বজনরা এসে তাকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ছেলেটিকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এমদাদুল হক জানান, হোসেনের ডান হাত ও কোমড়ের হাড় ভেঙে গেছে। হাত ও পায়ে পানি জমে যাওয়ায় তার একটি কিডনি ঝুঁকিতে রয়েছে। এমতাবস্থায় তার চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যায় বহুল হবে। ছেলেটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দিলেও অর্থের অভাবে ফেনীতে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আলম সরকার জানান, এখন পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকদের কাছ থেকে খবর শুনে নির্যাতনকারী নাছিরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় নির্যাতিতের পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি সিলেট, বরগুনা ও খুলনায় নির্যাতন চালিয়ে তিন শিশুকে হত্যার পর শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে বেশ আলোচিত।
সম্পাদনা: এনকে
দাগনভূঞায় কিশোরের হাত ও কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে দোকান মালিক







