ছলিম উল্লাহ মেজবাহ>>
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর পর সারাদেশে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। দলটির নেতাকর্মীরা গত দু’তিন ধরে বেশ জোরালোভাবে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে বলে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে রাজপথে মুজাহিদের ফাঁসি ঠেকানোর কোনো লক্ষণ না দেখলেও ফাঁসির আগে ও পরে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমন তথ্যও জানিয়েছেন জামায়াতের বেশ কয়েক নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব নেতা বলেন, জামায়াত তার আইনি প্রক্রিয়ায় দলের সেক্রেটারি জেনারেলকে মুক্ত করবে।
অপরদিকে মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ কার্যকরের নির্দেশে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ জানান, সরকার জামায়াতকে নেতৃত্ব-শূন্য করার জন্য জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে। তিনি সরকারি ষড়যন্ত্রের শিকার। মকবুল আহমাদ জানান, সরকার মুজাহিদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষীও নেই। এতদসত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দুই দিনের পৃথক হরতাল আহ্বান করবে জামায়াত। জামায়াতের প্রচার বিভাগের এক শীর্ষ নেতা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, জামায়াত তার আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণও নড়বে না।
এদিকে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর জামায়াত। এ ছাড়া পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহার আগেও সংগঠনটির নেতারা এ ব্যাপারে কয়েক দফা বৈঠকে করেছিলেন। বৈঠকে ঈদের পরবর্তী সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ তার নিকটবর্তী জেলাগুলোতে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে মানবকণ্ঠকে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র।
এদিকে একাধিক মামলার হুলিয়া নিয়ে পলাতক নেতারা ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলামের খানের নেতৃত্বে ঈদের আগে, ঈদের দিন ও ঈদ পরবর্তী সময়ে গোপনে দফায় দফায় সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠকে বসেন।
বৈঠক সূত্রে জানানো হয়, সাংগঠনিক জনবল বাড়ানো, দলীয় কর্মসূচির আকার বড় করা, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ করা, নেতাকর্মীদের পার্টির আটক শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে প্রজেটিভ ধারণা দেয়া, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈরিতার পরিবর্তে সুসম্পর্ক বজায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সামাজিকতা বন্ধন তৈরি, সরকার পতন বা ২০ দলীয় জোটের যে কোনো কর্মসূচি অথবা জামায়াতের একক কর্মসূচি ঘোষণা এলে তা বাস্তবায়নের জন্য দলটির নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলটির ঢাকা মহানগর জামায়াতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়ে বলে, বর্তমান সময়ে জামায়াত রাজপথে সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ার মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
একইভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে জামায়াতের সব ইউনিট শাখার কার্যক্রমও। এমন মন্তব্যও আসে এসব সূত্র থেকে। দলের শীর্ষ নেতারা সম্প্রতি সময়ে স্বাভাবিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেও মাঠে তেমন উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীকে নামাতে পারেনি। এতে সংগঠনটির সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের সাবেক কয়েক বর্ষীয়ান নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, বর্তমান সরকারের হামলা-মামলার চেয়েও অতীতে জামায়াতের ওপর তার চেয়ে আরো ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সেই সময়ে জামায়াত জানপ্রাণ দিয়ে ময়দানে লড়াই করে টিকে ছিল। এখনো সেই অবস্থা তৈরি হয়নি। এখন জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আর্থিকভাবে সচ্ছল, অনেকে সরকারের প্রশাসনিক পর্যায়ে রয়েছেন, তারা প্রকাশ্যে না হলেও অপ্রকাশ্যে জামায়াতে সহযোগিতা করতে পারেন। সেই অবস্থান তাদের রয়েছে। অতীতে দলটির সেই সুযোগ ছিল না। তবে বৈঠকের ব্যাপারে জামায়াতের কোনো ঊর্ধŸতন নেতা স্বীকার করতে চাননি। তারা বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক সব সময় চলামান। তা প্রত্যেক দলের মতো রুটিন ওয়ার্ক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর পর সারাদেশে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। দলটির নেতাকর্মীরা গত দু’তিন ধরে বেশ জোরালোভাবে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে বলে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে রাজপথে মুজাহিদের ফাঁসি ঠেকানোর কোনো লক্ষণ না দেখলেও ফাঁসির আগে ও পরে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমন তথ্যও জানিয়েছেন জামায়াতের বেশ কয়েক নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব নেতা বলেন, জামায়াত তার আইনি প্রক্রিয়ায় দলের সেক্রেটারি জেনারেলকে মুক্ত করবে।
অপরদিকে মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ কার্যকরের নির্দেশে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ জানান, সরকার জামায়াতকে নেতৃত্ব-শূন্য করার জন্য জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে। তিনি সরকারি ষড়যন্ত্রের শিকার। মকবুল আহমাদ জানান, সরকার মুজাহিদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষীও নেই। এতদসত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দুই দিনের পৃথক হরতাল আহ্বান করবে জামায়াত। জামায়াতের প্রচার বিভাগের এক শীর্ষ নেতা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, জামায়াত তার আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণও নড়বে না।
এদিকে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর জামায়াত। এ ছাড়া পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহার আগেও সংগঠনটির নেতারা এ ব্যাপারে কয়েক দফা বৈঠকে করেছিলেন। বৈঠকে ঈদের পরবর্তী সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ তার নিকটবর্তী জেলাগুলোতে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে মানবকণ্ঠকে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র।
এদিকে একাধিক মামলার হুলিয়া নিয়ে পলাতক নেতারা ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলামের খানের নেতৃত্বে ঈদের আগে, ঈদের দিন ও ঈদ পরবর্তী সময়ে গোপনে দফায় দফায় সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠকে বসেন।
বৈঠক সূত্রে জানানো হয়, সাংগঠনিক জনবল বাড়ানো, দলীয় কর্মসূচির আকার বড় করা, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ করা, নেতাকর্মীদের পার্টির আটক শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে প্রজেটিভ ধারণা দেয়া, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈরিতার পরিবর্তে সুসম্পর্ক বজায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সামাজিকতা বন্ধন তৈরি, সরকার পতন বা ২০ দলীয় জোটের যে কোনো কর্মসূচি অথবা জামায়াতের একক কর্মসূচি ঘোষণা এলে তা বাস্তবায়নের জন্য দলটির নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলটির ঢাকা মহানগর জামায়াতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়ে বলে, বর্তমান সময়ে জামায়াত রাজপথে সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ার মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
একইভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে জামায়াতের সব ইউনিট শাখার কার্যক্রমও। এমন মন্তব্যও আসে এসব সূত্র থেকে। দলের শীর্ষ নেতারা সম্প্রতি সময়ে স্বাভাবিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেও মাঠে তেমন উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীকে নামাতে পারেনি। এতে সংগঠনটির সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের সাবেক কয়েক বর্ষীয়ান নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, বর্তমান সরকারের হামলা-মামলার চেয়েও অতীতে জামায়াতের ওপর তার চেয়ে আরো ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সেই সময়ে জামায়াত জানপ্রাণ দিয়ে ময়দানে লড়াই করে টিকে ছিল। এখনো সেই অবস্থা তৈরি হয়নি। এখন জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আর্থিকভাবে সচ্ছল, অনেকে সরকারের প্রশাসনিক পর্যায়ে রয়েছেন, তারা প্রকাশ্যে না হলেও অপ্রকাশ্যে জামায়াতে সহযোগিতা করতে পারেন। সেই অবস্থান তাদের রয়েছে। অতীতে দলটির সেই সুযোগ ছিল না। তবে বৈঠকের ব্যাপারে জামায়াতের কোনো ঊর্ধŸতন নেতা স্বীকার করতে চাননি। তারা বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক সব সময় চলামান। তা প্রত্যেক দলের মতো রুটিন ওয়ার্ক।
সম্পাদনা: আরএইচ








