নিজস্ব প্রতিনিধি >>
কেউ রাখেনি সোনাগাজীতে ইউপি নির্বাচনের সরকারী দায়িত্বে থাকা গুলিবিদ্ধ পোলিং অফিসার স্বপ্না রানীর খোঁজ। বিগত চারদিন ধরে হাসপাতালের বেডে বুলেটের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে তার পরিবারের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ৪ জুন ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়েে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পড়ে একই উপজেলার উত্তর-পশ্চিম চর দরবেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপ্না রানী দাসের উপর। সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ১০টার দিকে হঠাৎ কেন্দ্রে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা উপর্যুপরি গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে তিনটি ভোট বাক্স ছিনিয়ে নেয়। এসময় নুর নবী শিপন নামের এ যুবক ঘটনাস্থলে নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হন পোলিং অফিসার স্বপ্না রানী দাসসহ বেশ কয়েকজন। মা-মাথাসহ শহীরের বিভিন্ন ৬টি গুলি বিদ্ধ হয়। দীর্ঘ এক ঘন্টা তান্ডব চালিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত স্বপ্না রানী দাস জানান, সরকারী দায়িত্ব পালনকালে আহত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ধরণের সহযোগিতা ঝোটেনি। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনিল চন্দ্র রায় বার বার খোঁজখবর নিলেও তিন দিন পর হাসপাতালে দেখতে আসেন সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফা হক। তবে তিনি আহতের চিকিৎসার জন্য কোন ধরণের সহায়তার কথা জানান নি। আর্থিক অনটনে তার চিকিৎসা হবে কিনা এ নিয়ে চিন্তায় আছেন বলেও চল্লিশোর্ধ এ শিক্ষিকা জানান।
আধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার সাহা জানান, আহত স্বপ্নাসহ অন্যান্যদের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ্য হয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগলেও তারা সকলে আশঙ্কামুক্ত।
সম্পাদনা: আরএইচ
কেউ রাখেনি গুলিবিদ্ধ পোলিং অফিসার স্বপ্নার খোঁজ







