মিরসরাই প্রতিনিধি>>
গাজীপুরে কাশিমপুরে বয়লার বিস্ফোরণে হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিবর্তে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মিরসরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের নির্বাহী সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক এম মাঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আনেয়ার সবুজ, মানবাধিকার কমিশন মিরসরাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন, মহিলা সম্পাদিকা রাফিয়া খাতুন, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন সভাপতি মাষ্টার জামশেদ আলম, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, ওছমানপুর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নয়ন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিনীড়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন সোহেল, দুর্বারের সভাপতি হাসান সাইফ উদ্দিন, হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল, প্রজন্ম মিরসরাই’র সভাপতি রাজিব দাশ, অদম্য ওয়েল ফেয়ার।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি নিয়াজ মোঃ সাজিদ, এসটি লায়ন্স স্পোটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম শাহিন, নিহত মুনসুরুল হকের ভাই মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে অশংগ্রহন করেন ‘মিরসরাই সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিনীড়, সমমনা সংঘ, দুর্বার, প্রজন্ম মিরসরাই, হিতকরী, সোনালী স্বপ্ন, শতাব্দী ক্লাব, অদম্য ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, নির্বাণ, সেতু, প্রজন্মের ভাবনা, এসটি লায়ন্স স্পোটিং ক্লাব, জনতার রক্তের সেবায় আমরা, ইউসাম, সৃজন সংঘ, মানবাধিকার কমিশন বারইয়ারহাট পৌরসভা শাখা, মিঠানালা ইউনিয়ন শাখা, ইছাখালী ইউনিয়ন শাখা, ওছমানপুর ইউনিয়ন শাখা।
মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদুন্নবী শিমুল, মাষ্টার হোছাইন সবুজ, মীরসসরাই মাতৃকা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক বদরুল আলম জোসেফ, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, শাস্তিনীড়ের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, তানভীর আহম্মেদ, রক্তের বন্ধনের রাসেল খান, সাবেক ছাত্রনেতা কামরান সরওয়ার্দী, সাংবাদিক এম আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ইউসুফ, আজিজ আজহার, ফিরোজ মাহমুদ, সৈয়দ আজমল হোসেন সাদমান সময়, আবদুল হান্নান আনসারী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্রমিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কারখানা মালিক মৃত ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়েছেন। বয়লার বিস্ফোরণের জন্য দায়ী মালিক। অথচ ওভারটাইম ডিউটির জন্য ফোন করে ডেকে এনে শ্রমিকদের মৃত্যুরমুখে ফেলেছেন কারখানা মালিক। এ ঘটনায় ১৩ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। যাদের মধ্যে ৩ জন (মনসুর, সালাম ও আরশাদ) মিরসরাইয়ের বাসিন্দা।
সম্পাদনা: আরএইচ/এসএইচটি/এমইউ







