বিশেষ প্রতিনিধি>>
ফেনীর ফরহাদনগরে বিরল রোগে আক্রান্ত মো. শাহাদাত হোসেনের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বুধবার সকালে নতুন ফেনী সম্পাদক রাশেদুল হাসান’কে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। একই সাথে অসুস্থ্য শাহাদাতকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন তিনি। সিভিল সার্জন আরো জানান, তাকে দেখে পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে ১৪ আগষ্ট অনলাইন নিউজপোর্টাল নতুন ফেনী ‘তে ‘বিরল রোগে আক্রান্ত শাহাদাত’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর সংবাদটি ‘ভাইরাল’ হয়ে গেলে দেশের-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শাহাদাতকে সহযোগিতার জন্য তার স্বজনদের ফোন কাছে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেয়া হয়। সংবাদের শাহাদাতের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেছিলেন শাহাদাতের মা-বাবা।
শাহাদাতের মা জাহেদা বেগম জানায়, ২০০৩ সালে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের চরকালিদাস গ্রামের সদ্য প্রবাস ফেরত খুরশিদ আলম আইয়ুব ও জাহেদা বেগমের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় মো. শাহাদাত হোসেন। স্বাভাবিক ভাবে জন্ম নেয়ার পর কয়েক ঘন্টাপর তার শরীরে পরিবর্তন (ফাটল) দেখা দেয়। স্থানীয়দের পরামর্শে শিশু শাহাদাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকরা চর্মরোগ বলে ওষুধপত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়। র্দীঘদিন সে ওষুধ খাওয়ার পরও শাহাদাতের কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে বিগত এক যুগেরও অধিক সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও কবিরাজ দিয়ে শাহাদাতের চিকিৎসা করে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ে শাহাদাতের পরিবার।
তিনি আরো জানান, ছোট বেলায় তাকে ফরহাদ নগর ওমরিয়া ফারুকিয়া দাখিল মাদরাসায় ভর্তি করানো হলেও অন্য শিক্ষার্থীরা ভয় পাবে বলে তাকে ক্লাস না করে বাড়ীতে পড়াশোনা করানোর পরামর্শ দেন শিক্ষকরা। সে থেকে বাড়ীর মক্তবে পড়াশোনা করছে শাহাদাত। সাহেদা সুলতানা মুন্নি নামে তার এক বড় বোন রয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমএইচ