ফেনীতে প্রবাসফেরতসহ ২১২ জনসহ ১ হাজার ৫শ’ ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার সকালে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৯ জন প্রবাসীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে প্রবাসফেরতের স্বজন রয়েছেন ১ হাজার ২শ’ ৮৬জন।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনী সদর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন ৩ জনসহ প্রবাসী রয়েছেন ৪২জন। এদের স্বজন ২শ’ ৪৫জন, ফুলগাজীতে নতুন ৮জনসহ প্রবাসী ৫৭জন। এদের স্বজন ৩শ’ ৫২জন। পরশুরামে নতুন ১২জনসহ হোমকোয়ারেন্টাইনে প্রবাসী রয়েছেন ৩২জন। এদের স্বজনদের সংখ্যা ১শ’ ৯০জন। সোনাগাজীতে নতুন ৩ জনসহ প্রবাসীর সংখ্যা ৩১জন। এদের স্বজন রয়েছেন ১শ’ ৬৩জন। দাগনভূঞায় নতুন ১৯জনসহ প্রবাসী রয়েছেন ৩৭জন। এদের স্বজন ২শ’ ৯জন। ছাগলনাইয়ায় নতুন ৮জনসহ প্রবাসীর সংখ্যা ২০। এদের ১শ’ ২৭ স্বজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। এ পর্যন্ত ৫৩জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে।
এদিকে অসমর্থিত একাধিক একটি সূত্র জানায়, গত চার সাপ্তাহে ৫ হাজার ৩শ প্রবাসী ফেনীতে আসেন। গুটিকয়েকজনের হোমকোয়ারেন্টাইন মানার তথ্য আসলেও তাদের বেশিরভাগ হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। এসব বিদেশফেরতরা প্রকাশ্যে হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামন বলেন, বিদেশফেরত কোন কোন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে। এ ধরণের ঘটনা চোখে পড়লে তিনি জেলা প্রশাসনের হটলাইন নম্বরে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি সকলকে সচেত হবার পরামর্শ দেন।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় ফেনীতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০ বেড, জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেসহ মোট ১০৫ বেডের আইসোলেশন কর্ণার প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি