ফেনীতে ২৪ ঘন্টায় ১৬৫জন প্রবাসফেরতসহ ৮৯১ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রবিবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান ফেনীতে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ২ হাজার ১শ’ ২৮জনকে। এদের মধ্যে ২১ প্রবাসীসহ ৭৫জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে এ জেলায় এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২ হাজার ৫৬জন।
জেলার স্বাস্থ বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ফেনী সদর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছে ৩৬ প্রবাসীসহ ২২০জন। ফুলগাজীতে ১৮ প্রবাসী ১০৪জন। পরশুরামে ৮ প্রবাসীসহ ৫৩জন। সোনাগাজীতে ৮ প্রবাসীসহ ৫৯জন। দাগনভূঞায় ৭৬ প্রবাসীসহ ৪১১জন ও ছাগলনাইয়ায় ১০ প্রবাসীসহ ৪৪জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আইসোলেশন কর্ণারের পাশাপাশি ফেনীতে ৯টি প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। ফেনী শহরে মাহবুবল হক পেয়ারা সুইমিংপুল, ফুলগাজীতে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ছাগলনাইয়ায় পূর্ব হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঁঞায় উপজেলা ডাকবাংলো, সোনাগাজীতে আল হেলাল একাডেমী, পরশুরামে কবি শামসুর রহমান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিথলিয়া নাসির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বক্সমাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়কে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামন বলেন, বিদেশফেরত কোন কোন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে। এ ধরণের ঘটনা চোখে পড়লে তিনি জেলা প্রশাসনের হটলাইন নম্বরে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি সকলকে সচেত হবার পরামর্শ দেন।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় ফেনীতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০ বেড, জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেসহ মোট ১০৫ বেডের আইসোলেশন কর্ণার প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি