জেনারেল হাসপাতালে তিন বছর চিকিৎসাধিন থাকার পর অবশেষে সেই হাফেজা খাতুনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর আগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ দাপনের প্রস্তুতির খবর প্রচার হলে হাফেজার স্বজনরা জানতে পারে। পরিচয় পাওয়ায় সরকারী কবরস্থানে লাশটি দাপন না করে রবিবার বিকালে স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে স্বজনহীন হাফেজাকে দীর্ঘ তিন বছর ধরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়।
সহায়ের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদকর্মী দুলাল তালুকদার জানান, ফেনীর ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখে সত্তরোদ্ধ বৃদ্ধা হাফেজাকে তিন বছর আগে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে সহায়ের সদস্যরা। বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়েও হাফেজার স্বজনদের খোজ মেলেনি। তখন থেকেই কিছুটা মানসিক সমস্যা ও বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এ বৃদ্ধার স্থান হয় হাসপাতালে।
তিনি জানান, বিগত কিছুদিন যাবৎ হাফেজা পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা সাধ্যানুযায়ী চেস্টা করেও তাকে বাচাতে পারিনি। শনিবার রাতে তার মৃত্যুর খবর পুণরায় প্রচার করা শুরু করি। রবিবার দুপুরের দিকে তার স্বজনরা মর্গে এসে লাশটি শনাক্ত করে।
রবিবার বিকালে নিহত হাফেজার বোনের ছেলে মো. ফখরুল ইসলাম লাশটি গ্রহনের সময় জানান, বিগত কয়েক বছর হাফেজা বাড়ি থেকে নিখোজ হয়। তার বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে। তিনি আন্ত আশরাফ ভুঁইয়া বাড়ির আবদুল হকের মেয়ে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে হাফেজার মা-বাবার কবরের পাশে তার সমাধি করা হবে।







