ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষিত এক কিশোরীর আত্মহত্যার পর তার গর্ভের মৃত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে শনাক্ত করেছে সিআইডি। এ ঘটনায় ধর্ষক আবু ইউসুফ নয়নকে (৩০) গ্রেফতার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। সে পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকসা চালক ও উপজেলার বগাদানা এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। এর আগে ধর্ষিত কিশোরীর গর্ভে সন্তান আসার পর নয়নকে বিয়ের জন্য রাজী করতে না পেরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের নুর আমিনের পরিবার সব সময় সিএনজি অটোরিক্সা চালক নয়নের গাড়িতে পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াত করতো। ওই সুযোগে নয়ন মঙ্গলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হলে নয়নকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। নয়ন বিয়েতে রাজী না হওয়ায় লোক-লজ্জার ভয়ে গর্ভে ৫ মাসের সন্তান নিয়ে ওই কিশোরী ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বরে বিষপানে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তকালে কিশোরীর গর্ভের সন্তানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর কিশোরীর বাবা সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ধর্ষককে শনাক্তে তৎপর হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কিশোরীর পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্দেহভাজন ৫ যুবকের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার (৩০ জুন) ওই ডিএনএ পরীক্ষায় কিশোরীর গর্ভের সন্তানের সাথে অভিযুক্ত সিএনজি চালক নয়নের ডিএনএ ফলাফল মিলে যায়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, কিশোরীর আত্মহত্যার পর তার গর্ভের মৃত সন্তানের ডিএনএ ও ধর্ষক নয়নের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেফতার করে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।







