একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না করলেও আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে দলীয় ৫ নারী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। বাকীরাও দ্রæত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, জাহানআরা বেগম সুরমা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ রাজনীতিক ২০০৪ সাল থেকে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। মামা ‘ফেনীর রাজা’ খাজা আহম্মদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কলেজ জীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে যান সুরমা। এবারো একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি মনোনয়ন পেতে দৃঢ় আশাবাদী।
প্রথমবারের মতো সরাসরি নির্বাচনের মাঠে নেমে ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে চষে বেড়িয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবি শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে এফবিসিসিআই এর পরিচালক শমী কায়সার ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী। সংসদ নির্বাচনে দলের টিকিট না পেলেও সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের ব্যাপারে দু’জনই আলোচনায় রয়েছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যোগ হয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড় মনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা গিয়াস খুকু, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহর স্ত্রী পারভীন আক্তার।
এদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ উপদেষ্টা ও জেলা সভাপতি নাজমা আক্তারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে মহিলা এমপিদের ফরম বিক্রি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাহানআরা বেগম সুরমা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী ও পারভীন আক্তার দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।
প্রসঙ্গত, সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের নিয়ম রয়েছে। সে হিসাবে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৯ মার্চ সংসদ সদস্যদের ভোটে ৫০ জন মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে। প্রতিটি ফরমের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আসন অনুযায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৪৩, জাতীয় পার্টি ৩, ঐক্যফ্রন্ট ২ এবং অন্যান্যরা ২টি মহিলা আসন পাবে।







