>> সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি
>> প্রতি ইউপির দায়িত্বে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
>>৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান ভোট নেই
>> সদর ইউপিতে ইভিএম , ৫ ইউপিতে ব্যালট পেপারে নির্বাচন
>> ৫৪ কেন্দ্রের ২৮৫ বুথে ভোট দেবেন ৯৫ হাজার ৪৬০ জন
>>১০ চেয়ারম্যান, ২০৯ মেম্বার ও ৫০ মহিলা মেম্বার প্রতিদ্ব›িদ্ব
রাত পোহালেই ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ৬টি ইউনিয়নের ৫৪ কেন্দ্রে ৯৫ হাজার ৪৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই সকল কেন্দ্রে ব্যালট ব্যতিত সকল নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতায় এবার ভোটেরদিন সকালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফুলগাজীতে ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৩ প্রার্থী। বাকী ৩টি ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রতিদ্ব›িদ্বতায় রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও বিজিবি, র্যাব ও স্টাইকিং ফোর্স নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসনের সব চেষ্টার পরও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত হতে পারেননি সাধারণ ভোটাররা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের তিনটিতে একক প্রার্থী থাকায় বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৩টি ১০ প্রার্থীর মধ্যে আমজাদ হাট ৫ জন, জিএম হাট ৩ জন ও দরবারপুরে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৬ ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) এর ৫৪টি পদের মাঝে ২টিতে বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় ও বাকী ৫২টি পদে ২০৯ জন মাঠে রয়েছেন। এদের মাঝে ফুলগাজী সদর ইউপিতে ৪২ জন, মুন্সিরহাটে ও দরবারপুরে ৩১ জন করে, আমজাদ হাটে ৪০ জন, আনন্দপুরে ২৭ জন ও জিএমহাটে ৩৮ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ১৮টি পদের মাঝে ২ জন বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ১৬ পদে ৫০ প্রার্থী ভোটাভোটির মাঠে সক্রীয় রয়েছেন।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৬০ জন। তারা ৫৪টি কেন্দ্রের ২৮৫টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার ও পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের নিয়ে স্টাইকিং ফোর্স পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এতো বেশি প্রশাসনিক সতর্কতা ও প্রস্তুুতির পরও পূর্বের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারছেন না সাধারণ ভোটাররা। তাদের মতে অন্যান্য নির্বাচনের মত এবারও বহিরাগতরা গোপন ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। তবে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকলে কেউ নির্বাচনী পরিবেশ লুন্ঠন করতে পারবেনা বলেও মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্ণিং অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বুধবার রাতেই সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ব্যতিত নির্বাচনের সকল সরঞ্জামাদী পৌছানো হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাচনী এলাকায় ২জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ৬ ইউনিয়নের মাঝে শুধুমাত্র সদর ইউনিয়নে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট গ্রহন হবে। বাকী ৫টি ইউনিয়নে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।