ফেনীর ১৬ লাখ মানুষের জন্য জেলায় ৭০ শয্যার আইসোলেশনের প্রস্তুতি নিয়েয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে ৯ সদস্যেও একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের এ প্রস্তুতিকে অপ্রতুল মনে করছেন স্থানীয়রা। এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা উচিত বলে মনে করছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ফেনীর মহিপালের ট্রমা সেন্টারে ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫ শয্যা ও ফেনীর সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ শয্যা করে আইসোলেশনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। রবিবার দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জেলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করার নির্দেশনা পাওয়া গেছে। এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।
সূত্র আরো জানায়, ফেনীর ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫ শয্যার একটি আইসোলেশন কর্ণার স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। এ কর্ণারের যাবতীয় চিকিৎসার জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ইকবাল আলম ভূঞার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। এটিকেও জেনারেল হাসপাতালের মোট সেবা গ্রহিতাদের তুলনায় অপ্রতুল মনে করছেন রোগী ও সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, ফেনী জেলায় প্রায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। তাছাড়া ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও রামগড় থেকে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সেবা নিতে আসেন। এ হিসেবে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল এখন প্রায় ৬০ লাখ মানুষের চিকিৎসায় ভরসা স্থল। তাই এখানে আরো বৃহৎ আকারে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরী করা জরুরী।
ফেনী জেলা প্রাইভেটহাসপাতাল ও নার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুন উর রশীদ জানান, প্রাথমিকভাবে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫ শয্যার আইসোলেশন কর্ণার চালু করা হয়েছে। যদিও এ মুহূর্তে এটি অপ্রতুল। তারপরও পরিস্থিতি বুঝে আরো শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি রাখা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও এ ভাইরাসের বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বাড়লে সরকারী সেবার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের পরামর্শক্রমে আমাদের এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করার নির্দেশনা পাওয়া গেছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ২০ শয্যার আইসোলেশন করার প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি জেলায় বর্তমান প্রস্তুতি অপ্রতুলনয় দাবী করে বলেন, রোগের বিস্তার ও আক্রান্ত রোগীর চাপ অনুযায়ী শয্যা বাড়ানো হবে। এক্ষে ত্রেতিনি রোগটির সংক্রামন এড়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে সর্ব সাধারনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







