দাগনভূঞা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও এক নারীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যকেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কিনা তা জানতে বৃহস্পতিবার জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা থেকে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় ৯৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ২১ এপ্রিল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এবং ২২ এপ্রিল জায়লস্কর ইউনিয়নের এক নারীর নমুনা ছিলো। আট দিন পর বুধবার রাতে তাদের দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রণ নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পৌর এলাকার একটি বাড়িতে ব্যাচেলর থাকেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার পাহাড়তলি রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটি এলাকায়। অপরদিকে আক্রান্ত ওই নারী ঢাকার একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। লকডাউন পরিস্থিতির পর তিনি তার নিজবাড়ী উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আলামপুরে চলে আসেন। সদ্য সনাক্ত হওয়া দু’জনকেই তাদের নিজ ঘরে আইশোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের তেমন কোন উপসর্গ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, খবর পেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, পৌর মেয়র ফারুক খান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সিকদারসহ প্রকল্প কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসা ১৩ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সর্বাধিক সময় প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে অবস্থান নেয়া ৯ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বৃহস্পতিবার সর্বমোট ২৪ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে কাজ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সংগৃহিত ৩৫ জনের নমুনাসহ এ পর্যন্ত ফেনী থেকে ৩৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। তারমধ্যে ১৮০ জনের ফলাফলে ৪ জনের পজেটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন সোনাগাজী, একজন ছাগলনাইয়া ও দুই জন দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত প্রেরণকৃত নমুনার ১৬২ জনের ফলাফল পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের মধ্যে সবার অবস্থাই এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে।
সম্পাদনা: এনকে/আরএইচ







