ফেনীতে চিকিৎসক ও পুলিশসহ আরো ৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মো. ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরো ৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও চারজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। জেলায় কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪শ’ ১১।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে স্বয়ং সিভিল সার্জন ও চারজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়াও ফেনী সদর উপজেলায় ১০, ছাগলনাইয়ায় ১৮ ও দাগনভুঞায় ১০ ও অন্যান একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ১১ জনের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। দুইজন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১৮ জনের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন। তারা পাঠাননগর ইউনিয়নের গতিয়া সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা। এহছাড়া পৌরসভা এলাকায় ১০ জন, শুভপুর ইউনিয়নে ২ জন, রাধানগর, মহামায়া ও ঘোপাল ইউনিয়নে ১ জন করে রয়েছেন। দাগনভূঞা উপজেলায় একজন পুলিশ সদস্য ও দুইজন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন। আক্রান্ত ৬ জন পৌরসভা, রাজাপুর ইউনিয়নে ২ জন, ১ জন করে সদর ইউনিয়ন, ইয়াকুবপুর ও জায়লস্কর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সূত্র আরো জানায়, বৃহস্পতিবার ১৪৯ টি নমুনা পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ৩৯ জনের করোনা পজটিভ আসে।
এদিকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিমকে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি পাননি বলে জানান তিনি। তবে তাকে দায়িত্ব পালন করতে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪শ’ ১১ জন। সুস্থ্য হয়েছে ৯১ জন। এ পর্যন্ত প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৭জন।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি







