তর্ক নাকি বাঙালির রক্তে। চায়ের দোকান থেকে লোকাল ট্রেনের কামরা, নন্দনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে ডোভার লেনের মিউজিক কনফারেন্স বাঙালি যে কোনও জায়গায়, যে কোনও বিষয়ে তর্কে মগ্ন হয়ে যেতে পারে। তবে, সাধারণত সেই তর্কের কোনও নিয়ম থাকে না। যুক্তির জোরে না হলে গলার জোরে লড়ে যাওয়া যায়, ‘তুই কী জানিস’ বলে দাবড়ে চুপ করিয়ে দেওয়া যায় প্রতিপক্ষকে।
বিতর্ক ব্যাপারটা পুরোপুরিই যুক্তির খেলা। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন ও উদাহরণ দিয়ে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে বিতর্কের মূল লক্ষ্য। বিতর্ক করে একজন মানুষ নিজেকে সর্বপ্রথম যুক্তিবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
‘যুক্তিতে মুক্তি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০ নভেম্বর ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রিয় সংগঠন ফেনী সরকারি কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি ( এফসিডিএস)। প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে দুর্দান্ত শুরু করে এফসিডিএস। সফলভাবে সাপ্তাহিক সেশন, ১ম আন্তঃদল বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। হঠাৎ যখন করোনা নামক মহামারী হানা দেওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এফসিডিএস এর অফলাইন কার্যক্রম। কিন্তু করোনা মহামারী ও দমিয়ে রাখতে পারেনি এফসিডিএস এর কার্যক্রম। এফসিডিএস এর বিতার্কিকদের আগ্রহ ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহযোগিতা অনলাইনেও শুরু করা হয় কার্যক্রম। সফলভাবে সম্পন্ন করা হয় একাধিক অনলাইন সেশন ও কর্মশালা।
এফসিডিএস তার সুসম্পর্ক বৃদ্ধির দেশের বিভিন্ন ক্লাবের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। এফসিডিএস এর ১বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশের প্রায় ৩০টি ক্লাবের প্রতিনিধি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন এবং এফসিডিএস এর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। যা একটি নতুন ক্লাবের জন্য সত্যি গৌরবে। এফসিডিসের পরিচয়ে আমরা পরিচতি হতে পেরেছি দেশের স্বনামধন্য বিতর্ক সংগঠনের সাথে। শিখতে পারছি অনেক কিছু । এফসিডিএস আমাদের গৌরব।
যুক্তি ভিত্তিক মানুষ গঠনে এফসিডিএস একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে খ্যাতি অর্জন করবেন। এফসিডিএস এর বিতার্কিকরা হবে আগামী বাংলার আদর্শ নাগরিক। এফসিডিএস এর ১বছর পূর্তি সফল হোক। হাজার বছর বেঁচে থাকুক এফসিডিএস এই কামনা করি।
লেখক- বিতার্কিক, এফসিডিএস
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর







