নিজস্ব প্রতিনিধি>>
মুহুরী ও কুহুয়া নদী রক্ষা বাধ ভেঙ্গে ফেনীর তিন উপজেলার ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। শনিবার থেকে জেলা উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সোনালী ফসল ও স্বপ্ন ভেজা পুকুরের মাছ।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মুহুরী নদীর সাহপাড়া ২০ মিটার ও উত্তর দৌলতপুরে ৩০ মিটার ও কহুয়া নদীর বৈরাগপুরে ৩০ মিটার এলাকা বাঁধ ভেঙ্গে ধেয়ে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী উপজেলার শাহাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগপুর, পশ্চিম ও উত্তর ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং পাশের ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলা ও ট্যাটেশ্বর, সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুর ৬ গ্রামসহ অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী উপজেলার সহাপাড়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগ পুর, জগৎপুর ও শর্শদীর আবুপুরের মানবেতর জীবন যাপন যাপন করছে। অনেকে শহরের অত্মীয় স্বজন ও উচু স্থানে আশ্রায় নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এতে কয়েকশ বসতবাড়িতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ৭৮০টি পুকুর থেকে প্রায় ৫৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে ৯০ হেক্টর আমন বীজ তলা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়াও ভারী বর্ষণে মুহুরি ও কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শ্রীচন্দপুর, জয়পুর ও জগতপুর এলাকায় বাঁধের ৪টি স্থান যে কোন মুহুর্তে¡ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে জানায় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মাঝে বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রী অপ্রতুল। অদ্ভুত পরিস্থিতিতে রবিবার বন্যা দুর্গত এলাকায় ১২শ পরিবারকে ২ লিটার করে বিশুদ্ধ পানি ও দু’টি করে খাবার স্যালাইনসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বৃষ্টি কমে গেলে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তোরণ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পীড়িতদের আরো সাহায্যের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ
টানা বৃষ্টিতে ফেনীর ৩০ গ্রাম প্লাবিত ॥ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী
