নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফুলগাজী উপজেলার উত্তর তারাকুচি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ধ্বসে একটি পা হারাতে বসেছে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী শারমিন সুলতানা। অর্থের অভাবে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা শারমিনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে পারছেন না দরিদ্র পিতা।
শারমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২ আগষ্ট বুধবার প্রতিদিনের মত উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের ওই স্কুলে সমাপনি পরীক্ষার কোচিং করতে যায় শারমিন সুলতানা (১১)। ক্লাস ও কোচিং শেষে বাড়ী ফেরার পথে স্কুলের প্ররিত্যক্ত দেয়াল ধ্বসে পড়ে মারাত্মক আহত হয় শারিমন। তার শোর চিৎকারে শিক্ষকরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে। কিন্তু হতভাগ্য পিতা আবুদর রহমানের পক্ষে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করানো অসম্ভব হওয়ায় হাসপাতালের বেডে পা হারানোর দিন গুনছে শরমিন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শারমিনের ডান পা মারাত্মকভাকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার হাটুর নিচের অংশ ও আঙ্গুল থেতলে যায়। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না করালে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
শারমিনের বড় বোন পারভিন আক্তার নতুন ফেনী’কে জানান, গত এক সাপ্তাহ ধরে হাসপাতালে আমার বোন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির কেউ তাকে দেখতে আসেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসিনতার বিচার চেয়ে তার বোনের চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সম্পাদনা: আরএইচ
ফুলগাজীতে স্কুলের দেয়াল ধ্বসে পা হারাতে বসেছে শারমিন
