নিজস্ব প্রতিনিধি>>
দাগনভূঞায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পূজা ও হাফিসার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তাদের স্বজনরা। শনিবার তারা পৃথক দূর্ঘটনায় নিহত হয়।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মা স্বপ্না রানী দাসের সাথে দাওয়াত খেয়ে নানীর বাড়ী থেকে বাড়ী ফিরছিল পূজা রানী দাস (৬)। ফেনী-মাইজদি মহাসড়কের সিলোনিয়া লালপুর রাস্তার মাথায় মায়ের হাত থেকে ছুটে দৌঁড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় পূজা নিহত হয়। পূজা জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব হিরাপুর গ্রামের সুফল চন্দ্র দাসের মেয়ে। সে সিলোনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী। পূজার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্কুলের সহপাঠি ছাড়াও স্থানীয়রা ভীড় জমায় তাদের বাড়ীতে। স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠছে ওই এলাকা।
নিজ চোখে দেখা মেয়ের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন তা মমতাময়ী মা স্বপ্না রানী। বার বার অজ্ঞান হয়ে আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তিনি।
এদিকে বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার দুলামিয়া কটন মিল সংলগ্ন স্থানে ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট-১১-১১৮৩) চাপায় নিহত হাফিজা আক্তার’র বাড়ীতেও কান্নার রোল। মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তার পিতা-মাতা। মেয়েকে বাজারে পাঠানোই কাল হলো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাফিজার পিতা মো: হানিফ। নিহত হাফিজার পিতা দীর্ঘদিন ধরে কটল মিল সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ব্যারাকে বসবাস করে আসছে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে সিলোনিয়া থেকে ঘাতক ট্রাক ও চালক গোপালগঞ্জ জেলার ভবানিপুর গ্রামের মুন্সি রেজাউল হকের ছেলে কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক আসলাম পৃথক দূর্ঘটনায় দুই শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ
দাগনভূঞায় পূজা-হাফিজার পরিবারে শোকের মাতম







