পরশুরাম প্রতিনিধি>>
পরশুরামে চাকরির লোভ দেখিয়ে দু’ ভাইয়ের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে তাদের।
ভুক্তভোগি সূত্র জানায়, উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মৃত বেচু মিয়ার দু’ছেলে আবু তাহের (৩৮) ও বাহার মিয়া (৩৮)। জমজ দু’ভাই ইরাক যাওয়ার জন্য মির্জানগর মৌজার ২৪ শতক জায়গা বিক্রি করে ১১ লাখ টাকা তুলে দেয় ঢাকাস্থ মেসার্স জাবের ইন্ট্যারন্যাশনালের কথিত ম্যানেজার আদম ব্যবসায়ী মো. শহিদউল্লাহ ওরপে শহিদ হুজুরের হাতে। তার বাড়ি মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামে।সে শেখ আহম্মদের ছেলে। চলতি বছরের ১২ জুন হাসপাতালে ক্লিনারের চাকরি দেয়ার কথা বলে দু’ভাইকে ইরাক পাঠায় শহিদ। কিন্তুু সেখানে যাওয়ার পর চাকরিতো দূরের কথা দালালের মাধ্যমে বেচে দেয়া হয় তাদের । দীর্ঘ ২ মাস একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের উপর শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে নগদ ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় দালাল চক্র। পরে পালিয়ে গিয়ে দু’ভাই বাড়িতে যোগাযোগ করে টাকা পাঠানোর কথা বলে। তাদের আত্বীয়স্বজন জমি বিক্রির বায়না করে ৩লাখ টাকা পাঠায় তাদের জন্য। সে টাকা দিয়ে বিমানের টিকেট কেটে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে আসে তারা। টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আদমব্যবসায়ী শহিদের সাথে যোগাযোগ করলে শহিদ নানা টালবাহানা শুরু করে।
আবু তাহের ও বাহার মিয়া জানান, শহিদের কথায় বিশ্বাস করে বিদেশ গিয়েছিলাম ভাগ্যপরিবর্তনের আশায়। কিন্তুু কপাল খারাপ কিছুই করতে পারলাম না। এখন আমাদের সংসার ও ৬ ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ কিভাবে চালাবো ? তারা টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা দালাল শহিদের উপযুক্ত বিচার চাই। মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টু সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তাদের।
অভিযোগ রয়েছে, ইরাক নেয়ার কথা বলে শহিদ অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যাদেরকে লোভনীয় চাকরি-বেতন পাওয়ার কথা বলে ইরাক পাঠিয়েছে তাদের অনেকেই চাকরি পায়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইরাকের পথে পথে ঘুরছে।
এ ব্যপারে শহীদ উল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃ মোবাইল নম্বরে অনেকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদনা: আরএইচ
পরশুরামে চাকরির লোভ দেখিয়ে দু’ ভাইয়ের সর্বস্ব লুট







