দাগনভূঞা প্রতিনিধি>>
আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে দাগনভূঞায় মুখোমুখি অবস্থান করছে ৩ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। সমর্থক ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ তুলছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে পৌর আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন মাসুদ’র (টেবিল ল্যাম্প) সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সদস্য নুরুল হুদা সেলিম’র (উটপাখি) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ অন্তত ৭জন আহত হয়।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থসূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নুরুল হুদা সেলিম’র (উটপাখি) ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থকরা ওই ওয়ার্ডের বেতুয়া গ্রামের হারিছ মেস্ত্রী বাড়ী, সারেং বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের জিয়া উদ্দিন মাসুদকে ভোট না দিতে হুমকি-ধমকি প্রদর্শক করে। এ পর্যায়ে তারা জোরপূর্বব বেশ কয়েকটি ঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। হামলায় ১০ মাসের কন্যা নাবিহা ইসলাম ও তার মা নাসিমা আক্তার (৩২), কাজী নজরুল ইসলাম লাদেন এবং মো: সবুজ (৩০) ৭জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রাফিউল আলম জানান, আহতদের শরীরে কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তারা আশঙ্কা মুক্ত।
এ ঘটনায় নুরুল হুদা সেলিম অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, পরাজয়ের ভয়ে অপরপ্রার্থী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
দাগনভূঞা থানা পরিদর্শক মো আসলাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ইআর
দাগনভূঞায় মুখোমুখি আ’লীগের দুই কাউন্সিলর
