নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনী শহরের মহিপালে নির্বিচার গুলি চালিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় মহিপাল ও চাঁড়িপুর সহ আশপাশের এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সেই সাথে বইছে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়। বর্বরোচিত এ ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা শর্টগান সহ বন্দুক ও বুলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহিপাল চৌধুরী বাড়ী সংলগ্ন হেঞ্জু মিয়া হাজী বাড়ীর হারিছ আহম্মদের সাথে ৬২শতক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চৌধুরী বাড়ীর মফিজ মিয়া চৌধুরীর ছেলে সাহেদ চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে স্বপন চৌধুরী, আবদুল গোফরান চৌধুরীর ছেলে ফারুক চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সশ্রস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়। বসতঘর ও দোকান ভাংচুরকালে বাধা দিলে হামলাকারিরা নির্বিচারে গুলি ছোঁড়ে। এসময় আলী আকবরের ছেলে মাঈন উদ্দিন (৪৫), লোকমান হেসেনের মেয়ে আকলিমা আক্তার (১৪) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো: মারুফ (৫) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এসময় সাইফুল ইসলাম, মো: বাবুল ও ভানু বেগম সহ আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় নিহত মাঈন উদ্দিনের ছেলে মোমিনুল হক নয়ন বাদী হয়ে আবদুল মান্নান, সাহেদ চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চৌধুরী বাড়ীর মোজাহিরুল ইসলাম দিহান, চাঁড়িপুর থেকে দক্ষিন বিরিঞ্চির সাইফুল ইসলাম আসিফ, মধ্যম চাঁড়িপুরের নুরুল আফছার শামীম, একই এলাকার মো: আরিফ, পশ্চিম রামপুরের অনিক, দাগনভূঞা উপজেলার দেবরামপুর এলাকার ইমরান হোসেন, সোনাগাজী উপজেলার চরগনেশ গ্রামের দিদারকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে চৌধুরী বাড়ী থেকে সোনাগাজীর নশু মিয়ার ছেলে আজিজুল হক (৩৮) কে সন্দেহভাজন গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। আদালত রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করে।
পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় মূল আসামীরা সরকার দলীয় কয়েকজন নেতার ঘনিষ্ঠ ও নিকটাত্মীয় হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাতে এ মামলার আলোচিত আসামী স্বপন চৌধুরীর বসতঘর থেকে ১টি শর্টগান ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ওই শর্টগানটিতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। একইদিন মিঠু চৌধুরীর বসতঘর থেকে ১ নলা বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গুলি ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলির খোসার মিল পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত শর্টগান, বন্দুক ও গুলি নৃশংস এ ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারনা করছে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: শাহীনুজ্জামান বলেন, পর্যায়ক্রমে সব আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।
সম্পাদনা: আরএইচ








