নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র (পিটিআই) বাবুর্চি মো. মোসলেম উদ্দিন’র (৫০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আবাসিক হলের বাইরে থেকে তার রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ভোরে পিটিআই সংলগ্ন স্থানে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে নিহতের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার তার লাশ সনাক্ত করে।
নিহতের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার জানান, লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার লক্ষীরহাটের চরমুন্সী গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দিন ফেনী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’র (পিটিআই) বাবুর্চির কাজ করেন। দীর্ঘদিন থেকে ফেনী শহরের উত্তর সহদেবপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। শুক্রবার রাতে আবাসিক হলের নিজ শোবার ঘরে থাকবেন বলে তাদের জানায়। সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় কেন্দ্রের নৈশ প্রহরী মো. সেলিম ও মো. সফিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী শাহনাজ আক্তার।
পুলিশ জানায়, আবাসিক হলের তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। মোসলেমের মাথার পেছন দিকে গুরুতর আঘাত রয়েছে। তার দুটি দাঁতও ভেঙে গিয়েছিল। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখানো বলা সম্ভব নয় বলে তারা জানান।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক মো. মাহবুব মোরশেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে
ফেনী পিটিআই বাবুর্চির রহস্যজনক মৃত্যু
