সদর প্রতিনিধি>>
হাতে মেহেদীর রং এখনো ঠিকমত মুছেনি। স্বামীর সংসারে থেকে স্বপ্নময় পৃথিবীটাকে বুঝার আগে প্রাণ গেলো গৃহবধু নার্গিস আক্তারের। নার্গিস ফেনী সদরের লেমুয়া ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের শাহজাহানের কন্যা। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল পারিবারীক ভাবে বিয়ে হয় ফরহাদনগর ইউনিয়নের কাটা মোবারক ঘোনা এলাকার ভুঞা বাড়ীর ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবু ইউচুপের সাথে।
নার্গিসের পরিবার সূত্র জানায়, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে ইউচুপ ও তার পরিবারের লোকজন নার্গিসের উপর বিভিন্ন উচিলায় নির্যাতন শুরু করে। লোভী ইউচুপ আগষ্ট মাস থেকে নার্গিসের কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে। কিন্তু নার্গিস যৌতুক প্রদানে অস্বীকার করলে তার উপর কয়েক দফা নির্যাতন করা হয়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে নার্গিসের সাথে তার স্বামীর ঘরের লোকজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা নার্গিস কে গলাচেপে হত্যা করে লাশ ঘরের সিলিং এর সাথে ঝুলিয়ে রাখে। শুক্রবার সকালে নার্গিসের পিতার বাড়ী থেকে বার বার ফোন করলেও ফোন রিসিব না হওয়াতে তাদের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তারা বোগদাদিয়া পুলিশ ফাঁডির পুলিশ কে সাথে নিয়ে নার্গিসের শ্বশুর বাড়ীর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর থেকে নর্গিসের শশুর পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক মাহবুব মোরশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ
মেহেদীর রং না মুছতেই লাশ হলো নার্গিস







