নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে পাওনা টাকার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আড়ৎদার। শনিবার বেলা ১১টায় ফেনী রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী বিপুল কুমার সাহা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্যবসায়ীক নীতি অনুযায়ী তাঁর মালিকীয় মেসার্স বিপুল কুমার সাহা প্রতিষ্ঠানের সাথে পরশুরাম উপজেলার মেসার্স আবদুল্লাহ শাহ্ ট্রেডার্সের মালিক মো. জালাল উদ্দিন ফকির ওরফে দুলাল ফকির। ব্যবসায়ীক লেনদেন চলাকালে বিভিন্ন চলচাতুরি করে ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪শ’ টাকা আটকে রাখে। পার্শবর্তী মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রয়েল ট্রেডার্স, ও মেসার্স এসআরকে ট্রেডার্সের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন পরিশোধ করলেও তার টাকা পরিশোধে গড়িমশি করে। দিবো, দিচ্ছ বলে একাধিক বা কাল ক্ষেপণ করায় তিনি পাওনা টাকা দিকে চাপ প্রয়োগ করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় চতুর দুলাল ফকির। বিষয়টি পরশুরাম বণিক সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ তাঁরা উভয় পক্ষকে সমিতি কার্যালয়ে হাজিরে চিঠি প্রেরণ করে। সে বৈঠকে প্রতারক দুলাল ফকির উপস্থিত না হওয়ায় সমিতির কর্মকর্তারা খাতাপত্র দেখে তাঁদের প্যাডে আমি টাকা পাবো মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র দেন। উপায়ন্তু না দেখে কাগজপত্র নিয়ে তৎকালিন পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষের স্মরাপন্ন হলে তিনি বিষয়টি পরশুরাম থানার পরিদর্শ আবুল কাশেম চৌধুরীকে বিষয়টি মিমাংসা করার দায়িত্ব অর্পন করে। বিরোধ মিমাংসা ২০১৪ সালের ৫ জুলাই পরশুরাম থানার উপ-পরিদর্শক শফিকু রহমান উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন। কিন্তু প্রতারক দুলাল ফকির থানায় হাজির না হলে পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেলের দ্বারস্থ হন। দুই দিন পর ৭ জুলাই পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, প্যানেল মেয়র-২ ও সকল কাউন্সিলর গণের উপস্থিতিতে ওই টাকা পাওয়ার স্বীকার করে প্রতাক দুলাল ফকির ৩০ সেপ্টম্বর ২৫ লাক টাকা দেয়াসহ বাকী টাকা পরবর্তী তিন মাসের পরিশোধ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারী মেয়রের চাপে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু বাকী টাকা পরিশোধে সে গড়িমশি করে। ২১ জুন মেয়র একটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪শ’ টাকা পাওয়া রহিয়াছে মর্মে একটি শালিশ নামা দেন। কোন উপায়ন্তু না দেখে এক বছরের ৮ জুলাই সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রতাক দুলাল ফকির শুধু হামকি- ধমকি দিয়ে ক্ষান্ত হননি। চলতি বছরের ২৫ মার্চ শুক্রবার অজ্ঞাত সন্ত্রাসী দিয়ে আমার দোকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দিলে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা মাক্রোবাস যোগে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে যায়। ২০১৬ সালে ১২ জুলাই মাইক্রোবাস যোগে সন্ত্রাসীরা এসে অমাকে না পেয়ে আমার ম্যানেজরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি র্যাপিড এ্যকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব), ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা।
অন্যদিকে উত্তর বঙ্গের একাধিক মিল মালিক আমার কাছে টাকা পাওয়ায় স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ করে ওই টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আমার পরিবার পথে বসার অবস্থা হয়েছে। তিন ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হবার পথে। সংবাদ সম্মেলনের তিনি তাঁর পরিবারের নিরাপত্তাসহ পাওনা টাকা আদায়ে সহযোগিতা আশা করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ
ফেনীতে পাওনা টাকার দাবীতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
