নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীর ফুলগাজীতে সাবিনা আক্তার নামে অষ্টম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, থানার নির্বাহী অফিসার এমএম মোরশেদ জিএমহাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কথিত জ্বিন প্রদত্ত পুরুষাঙ্গ ঘটনার উদঘটন হয়। প্লাস্টিকে টেপ মুড়িয়ে কৃক্রিম লিঙ্গ তৈরী করে সে। এ ঘটনায় পিতা মামাতসহ প্রতারক সাবিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি রাতে জিএমহাট রাহাতের নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনা আক্তারকে কথিত জ্বীন ভাইয়া মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত করেছেন বলে দাবী করে তার পরিবার। জ্বীনের নির্দেশে ছুল কেটে লুঙ্গি ও টি শাট পরানো হয় সাবিনাকে। নতুন করে নাম রাখা হয়েছে হৃদয় চৌধুরী শুভ। মেয়েটি ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছে খবরটি প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষের ভীড় জমতে থাকে তাকে দেখার জন্য। ঘটনার সত্যতা নিয়ে নানা ঝল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, এক বছর থেকে সাবিনা মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জ্বীন হাজিরা মেলাতেন। মানুষ অনেক টাকা পয়সাও দিয়ে যেতেন। কারও কোন উপকার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তাঁর (সাবিনার) বাবা কোন সু উত্তর দিতে পারেনি। মেয়ে ছেলে হয়েছে বাবা হিসেবে পুরুষাঙ্গ কি দেখেছেন? কিন্তু তিনি বলেন, জ্বীন ভাইয়ার নির্দেশ ছাড়া কিছুই দেখানো যাবে না।
জি এম হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানা যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিসিঞ্জার চাকমা জাজান, কথিত জ্বিনের দ্বারা সাবিনা ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়ার ঘটনা অসত্য। এটি অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের ফন্দি বলেও তিনি জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ