নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে কোরবানী ঈদে যৌতুক হিসেবে গরু না দেয়ায় তানজিনা আক্তার তপু (১৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের মালিপুর ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমশি করায় ও তানজিনা হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে তার স্বজন ও এলাকাবাসীরা ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত এক বছর পূর্বে গৃহবধূ তানজিনার সাথে ফেনী সদর এলাকার ধর্মপুর ইউনিয়নের তুরাব আলী ভূঞা বাড়ির তুরাব আলীর ছেলে প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কাঠের ফার্নিসার, টিভি, প্রিজ ও যৌতুকের জন্য চাপ দিতো স্বামী হুমায়ুন, শাশুড়ী ও দেবর ননদেরা। যৌতুক হিসাবে এবার কুরবানী ঈদের সময় একটি গরুও দাবী করে স্বামী পক্ষ। তানজিনার মা বিবি রাবেয়া গরুর পবিবর্তে নগদ ২৫,০০০ টাকা প্রদান করে । কম টাকা দেয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় শশুর বাড়ির লোকজন। ঈদের দিন থেকে এক পর্যায়ে বার বার তানজিনাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ঘটনাটি তানজিনা তার মাকে জানান। ঈদের দ্বিতীয় দিন পরিকল্পিতভাবে সোমবার দুপুরে তানজিনাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। স্থানীয় ঘটনাটি ফেনী মডেল থানার পুলিশকে অবহিত করলে পরে পুলিশ তানজিনার লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে তানজিনার মা রাবেয়া আক্তার বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন জিয়া উদ্দিন জিয়া (দেবর), তরব আলী (শশুর) হালিমা খাতুন (শাশুড়ি) ফিরোজা আক্তার (ননদ) ঝরিনা আক্তার (ননদ), হুমায়ুন কবির (স্বামী), ক্বারী আহমেদ (ননদের স্বামী)
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধু তানজিনা হত্যার দায়ে স্বজনরা মামলা দায়ের করেন। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সম্পাদনা: আরএইচ/এইচএসটি/জেএইচএম







