নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনী জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসারের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলো কৃষকের ছেলে মেধাবী পবিত্র নুর। রবিবার ভর্তির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হলে তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকে।
এবার মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামের প্রান্তিক কৃষক বাচ্চু তালুকদারের বড় ছেলে পবিত্র নুর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মেধাক্রম ৭২৫) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বাবার ৩ একর জমির সবটুকুই গেল বছরের ফসল মৌসুমে পানিতে ডুবে যাওয়ায় কিছু জমি বন্ধক দিয়ে গত এপ্রিল মাস থেকে সংসার চালাচ্ছেন। জমি বন্ধকের টাকা থেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবার খরচ চালিয়েছে পবিত্র নূর। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ফেনী জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসারের নজরে পড়ে। তিনি তাৎক্ষনিক পবিত্র নুরের ভর্তি ও লেখাপড়ায় সহযোগিতার হাত বাড়ান। এগিয়ে আসেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. বাসুদেব দাস, বিএমএ সুনামগঞ্জ শাখা তার যাবতীয় বই-পুস্তক প্রদানের আশ্বাস ও সিলেট সিএমপির সিনিয়র পুলিশ কমিশনার জ্যাতির্ময় সরকার ও পবিত্র নুরের সহযোগিতায় মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব সুনামগঞ্জ এগিয়ে এসেছে।
৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে বড় পবিত্র নূর । সে স্থানীয় বাদশাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুন শেষ করে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায় সে।
মোহনগঞ্জে ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করেছে পবিত্র নূর। ময়মনসিংহে চাচাতো ভাইয়ের ম্যাচে সামান্য টাকা দিয়ে থেকেছে সে। ঐ টাকাও বেশিরভাগ সময় ফুফু-ই দিয়েছেন পবিত্র নূরকে।
মেডিকেলে ভর্তি হতে পেরে পবিত্র নূর জানান, স্যারদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে মেডিকেল ভর্তি ও পড়ালেখায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নুর আরো জানায়, ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আমার বাবা ও ফুফু ও স্যারদের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।’
সম্পাদনা: আরএইচ/এসডি







