নিজস্ব প্রতিনিধি >>
যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ও এম আজহারুল হক আরজুকে আমি নিজ থেকে শতভাগ ক্ষমা করে দিয়েছি বলে ঘাষণা করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারক তাঁর সংসদ পদ বৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়ার পর ফেনীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রি মহল শাখাওয়াত-আরজুকে ব্যবহার করেছে। তাদের কোন অপরাদ নেই। আমি জানি তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। নিজাম হাজারী বলেন, আপনারা স্বাক্ষী, ফেনীবাসী স্বাক্ষী শাখাওয়াদ-আরজুকে আমি নিজ থেকে শতভাগ ক্ষমা করে দিয়েছি।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার সোহেল চৌধুরী, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গিটার, নজরুল ইসমাইল স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মো. মোস্তফা, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, কাউন্সিলন বাহার উদ্দিন বাহার, কোহিনুর আলম, কাজিরবাগ ইউনিয়ন চেয়অরম্যান বুলবুল আহমেদ সোহাগ, মোটবী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ এলএলবি, বগাদানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যন ইছহাক খোকন, আনন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন মজুমদারসহ বিপুল পরিমান দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’। পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।
সম্পাদনা: আরএইচ/ আরআর







