নিজস্ব প্রতিনিধি >>
সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডারে নিহত রাশেদের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। বুধবার বিকালে তাঁর মুত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তাঁর স্বজনরা। মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্বজনরা জানায়, জীবন জিবীকার তাগিদে বিগত তিন মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি জমান শহরের উত্তর বিরিঞ্চি এলাকার ইলিয়াছ মেম্বার বাড়ীর মো. মহিউদ্দিন রাশেদ (৩৫)। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে রাশেদসহ ৭ বাংলাদেশী ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে গ্যাস সিলিন্ডার বিম্ফোরণ হয়ে সবাই মারা যায়। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ সবার ছোট। তাঁর ছেলে জিহান (৭), মেয়ে সাফওয়া (৫) ও ছেলে আলিফ নামে তিনটি সন্তান রয়েছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পাগল প্রায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে মা কুলফুরের নেছা স্ত্রী শিখা মজুমদার বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
কাঁদতে কাঁদতে নিহতের পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন হবে জানলে ছেলেকে কখনোই বিদেশ পাঠাতাম না। ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে বার বার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা এমরানুল হক সোহেল (৩৪), তার ভাই ইমামুল হক মুন্না (২২), গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মো. সোহেলসহ (৩০) নিহত হয়। নিহত বাকীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সম্পাদনা: আরএইচ/এইএস







