ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় চার তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনায় মো. ছোটন (৩৮) নামে আরো এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ফেনীর বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী মো. ওমায়ের (১৯) এর দশ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পুলিশ জানায়, ফেনী শহরের রামপুর সৈয়দ বাড়ী এলাকার কাশেম ম্যানশন নামেরএকটি বাসায় দীর্ঘ ছয় মাস ধরে চার তরুণীকে বিভিন্ন স্থান থেকে এনে আটকে রেখে আসামী নিজেও তাঁর সহযোগীদের সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারী সোমবার এক তরুণী বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেমসহ (৩৩) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রামপুর এলাকা থেকে মো. ওমায়ের (১৯) ও আরিফুল ইসলাম প্রকাশ আরমান (৩৩) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মূল হোতার অপর সহযোগী মো. ছোটন (৩৮) নামে আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তরুণীরা অসম্মতি জানালে তাদেরকে সিগারেটের ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শর্ট ও মারধর করে বিভিন্নভাবে অমানসিক নির্যাতন চালানো হতো।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. শাহজাহান জানান, শহরের রামপুর সৈয়দ বাড়ী এলাকা থেকে আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালে চার তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে ‘২২ ধারায়’ জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতকে তাঁরা তাঁদের ওপর চালানো অমানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে