১৫ বছর বয়সে স্কুলের একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বক্তব্য রাখেন রেবেকা শফি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেই ভিডিও ভাইরাল হলে অবাক হয়েছেন তিনি।তার ফেসবুক লিখেছেন, ‘নিজের ১৫ বছর বয়সের ভিডিও দেখে আমি অবাক, পুরনো দিনে ফিরে যাচ্ছি।’
ছোট বেলার ওই ভিডিও নিয়ে রীতিমত হৈচৈ পড়ে গেছে। ২৬ বছর আগের সেই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন রেবেকা শফি।১৯৯৩-৯৪ সালে প্রতিযোগিতার সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আড়াই মিনিটের বক্তব্যে তিনি বলেছেন, কীভাবে জীবনে সে একটার পর একটা ইচ্ছে বিসর্জন দিয়েছে, সেকথাই বলেছে। খুব সাধারণ কথায় জীবনটা বুঝিয়ে দিয়েছে মেয়েটি। সব শেষে বলেছে, ‘একজন সৎ, পরিশ্রমী বিবেকবান মানুষ হতে পারলেই আমি খুশি। ছেড়ে দিয়ে আমি জিতে যেতে চাই।’
রেবেকা শফি পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার সম্পাদক ফেনীর কৃতি সন্তান আবদুস সালামের নাতনি। তার বাবা আহমেদ শফি ও মা সুলতানা শফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক।এক সময় ঢাকার ধানমিন্ডতে থাকতেন। তিনি হার্ভার্ডে পড়াশোনা করে বর্তমানে রিসার্চ করছেন তিনি।
রেবেকা শফি জেনেটিকসের একজন রিসার্চ ফেলো। এনডিমিয়া নামে এক কন্যাসন্তানের মা তিনি। নিউরোসায়েন্সের ইন্টারসেকশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে শুধু রেবেকাকে দেখা গেছে। কিন্তু বিতর্ক প্রতিযোগিতার ওই পর্বে আরও যারা ছিলেন, তারাও তুখোড় বিতার্কিক। সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এখন প্রতিষ্ঠিত।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







