বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু ও ১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। বুধবার করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ইতালিফেরত ও একজন কুয়েত থেকে এসেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া তিনি ডায়েবেটিস ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। করোনা প্রতিরোধে সাবধানতার পাশাপাশি জনসমাবেশ বন্ধের আহ্বানও জানান আইইডিসিআরের এ পরিচালক।
মুসলিম ব্যক্তিকে কীভাবে দাফন করা হবে (সে বিষয়ে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রটোকল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে (তিনি) একজন মুসলমান। তাকে ইসলামি রীতি অনুযায়ীই দাফন করা হবে। তবে তা আইইডিসিআরের লোকজন করবেন। এ উদ্দেশ্যে আমাদের লোকজন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে চলে গেছেন। তারাই সবকিছু করবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের বর্তমান প্রজন্মটি (কোভিড-১৯) খুবই ছোঁয়াচে। এমনকি মৃত ব্যক্তির হাতে, মুখে, নাকে, চোখে বা যে যে স্থানে মুখের লালা লেগেছে সেখানে ভাইরাস থাকতে পারে। সে কারণে প্রচলিত যে রীতিতে একজন মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে খালি হাতে ধরে গোসল করানো হয়, এই ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে সেভাবে গোসল করানো বা ধরা যাবে না। সে কারণে আইইডিসিআরে লোকজন গিয়ে দাফনের কাজটি করে দিয়ে আসবেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।







