ফেনীতে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (২৮) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা সাহাব উদ্দিন। বুধবার রাতে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়রে করেন তিনি।
মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে তাহমিনা আক্তার। চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে নার্স চাকরি করতো সে। বিয়ের পর ওবাদুল হক টুটুলের পরিবার তাদের মেনে নেয় নি। দেড় বছর আগে তাদের একটি মেয়ে সন্তান হলে তারপর তারা মেনে নেয়। বিয়ের পর থেকে বেশ কয়েকবার টাকা চাওয়ায় টুটুলকে ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। টাকার জন্য তাহমিনাকে চাপ দিলে কয়েক সাপ্তাহ আগেও স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ করে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
টুটুলের পরিবার তাহমিনাকে নির্যাতন করতো দাবি করে তিনি বলেন, গত ৪/৫ মাস আগে তারা তামিনাকে নির্যাতন করে। পরে তাহমিনা পিতার বাড়িতে দুই মাস থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন সকালেও তারা তাহমিনাকে নির্যাতন করে। মেয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, নিহতের স্বামীকে আটক কর হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ফেনী শহরের বারাহিপুরের নিজ বাড়িতে ফেসবুকে লাইভ দিয়ে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে ওবাদুল হক টুটুল। পরে পুলিকে ফোন দিয়ে ধরা দেয় সে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি