ঈদের অন্যতম আনন্দ হিসেবে ঈদ সালামী যুগ যুগ ধরে স্বীকৃত হয়ে আসছে। সালামী না পেলে মনে হয় ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয়না। এবারের করোনাময় ঈদে সালাম, মুসাফা, কোলাকুলি সবই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ পেয়ে বকশিস আদায় হবেনা তা কি হয়? নামাজ শেষে সবাই যখন বকশিস চাচ্ছে তখন বকশিস হিসেবে দেওয়া হলো মাস্ক! আর মাস্ক পরলেই প্রকৃত বকশিস হিসেবে মিলছে টাকা। এমনি ঘটনা ঘটেছে ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামে। এ অসাধারণ উদ্যোগের পরিকল্পনা করেন ফেনী সাউথ- ইষ্ট ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক শরীফুর রহমান আদিল।
এ ব্যাপারে শরীফুর রহমান আদিল নতুন ফেনী’কে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্রামের লোকজন খুবই অসচেতন। তারা মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে একেবারেই নারাজ, তাই গ্রামের লোকজনকে সচেতন এবং সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে করোনায় এই ঈদে বকশিস হিসেবে প্রত্যেককে মাস্ক দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঈদের পূর্বে ১০০০ মাস্ক নিয়ে রাখি।
তিনি আরো বলেন, যা ঈদের দিন বকশিস চাইতে আসা লোকদের এবং পরে এতিম ও গ্রামের লোকদের প্রদান করা হয়। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ঈদের দিন সকল থেকে এ পর্যন্ত ২৮০ জনকে মাস্ক ও নগদ নতুন টাকার বকশিস দেয়া হয়।
তিনি প্রথমে নিজের বাড়ীর লোকজনদের দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন এবং এ কার্যক্রম প্রতি ২ সপ্তাহ পর পর করার কথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে শরীফুর রহমান আদিল বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেন। এরমধ্যে তার কলেজের শিক্ষার্থীসহ তার এলাকাবাসী ও পরিবারকে সচেতন করতে সরকারী নির্দেশনা মেনে চললে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ১০ নম্বর প্রদান করা এবং কলেজের গরীব কোন শিক্ষার্থী করোনাকালে তাদের পরিবারের কাছে থাকারও চেষ্টা করেন তিনি।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমকেএইচ







